
A Travel Story
In
সিকিম দার্জিলিং ভ্রমনগল্প
ভারত ভ্রমণ
( 3205 words, Reading Time: 16.03 min)
৮ দিন ৯ রাতের প্ল্যানে ঘুরে এলাম সিকিম দার্জিলিং।এই ট্যূরে আমরা পুরো সিকিম স্টেটের সবগুলো ডিসট্রিক্ট কাভার করেছি তার সাথে দার্জিলিং শিলিগুড়ি। সিকিমের মোট ৪ টি ডিসট্রিক্ট। ইস্ট সিকিম, নর্থ সিকিম, সাউথ সিকিম, ওয়েস্ট সিকিম। সিংহভাগ বাংলাদেশি পর্যটক ইস্ট সিকিম (গ্যাংটক, ছানগু লেক) আর নর্থ সিকিম (লাচুং, ইয়াম্থাং) ঘুরে চলে আসেন । ওয়েস্ট সিকিম ও সাউথ সিকিম সম্পর্কে খুব কম পর্যটক জানেন। নর্থ সিকিম, ইস্ট সিকিম ঘুরার পাশাপাশি আমরা সাউথ সিকিমের নামচি এবং রাভাংলা আর ওয়েস্ট সিকিমের পেলিং এ ঘুরেছি। আমাদের গ্রুপ ছিলো ১৬ জনের। আমরা ফুলবাড়ি পোর্ট ব্যাবহার করেছিলাম।
এখানে আমাদের পুরো ট্যূর প্ল্যানটি ডে বাই ডে দিচ্ছি।
প্রথম দিন (২০ জানুয়ারী)
সন্ধ্যা ৬ টায় গাবতলি বালুর মাঠের হানিফ এন্টারপ্রাইজ এর ডিপো থেকে আমাদের বাস ছেড়ে যায় বাংলাবান্ধার উদ্দেশ্যে। যাত্রা পথে ফুড ভিলেজে বিরতি দিয়ে পরের দিন সকাল ৭ টার আগেই পৌছে গেলাম বাংলাবান্ধা বর্ডারে।
দ্বিতীয় দিন (২১ জানুয়ারী)
সকালে বর্ডারে পৌছে ফ্রেশ হয়ে ইমিগ্রেশন অফিসের ওয়েটিং রুমে সবাই লাগেজ রেখে কাছের এক হোটেলে সকালে নাস্তা সেরে নিই। বর্ডারের ইমিগ্রেশন শেষ করতে বেলা ১১ টা বেজে যায়। বাংলাবান্ধা পোর্টে জন প্রতি পোর্ট ফী সহ ২০০ টাকা করে স্পিড মানি দিতে হয় (পোর্ট ফী ৫০ টাকা করে) । আমরা ১৬ জনের টিম ছিলাম বলে মোট ২৫০০ টাকা দিয়েই কনভিন্স করে ফেলতে পেরে ছিলাম। ফুলবাড়ি পোর্টে ২ বার স্পিড মানি দিতে হয়। একটা ইমিগ্রেশন এর ডিপার্চার সিল নেবার সময় জন প্রতি ১০০ টাকা আরেকবার লাগেজ ক্লিয়ারেন্স এর জন্য জন প্রতি ১০০ টাকা। ফুলবাড়ি বর্ডার ক্রস করে আমাদের কাছে থাকা ডলার আর টাকা রুপিতে কনভার্ট করে ফেলি। ফুলবাড়ি পোর্টে মানি এক্সচেঞ্জার দের একটা সিন্ডিকেট আছে। যেটা খুব স্ট্রং। এটার ব্যাপারে বিস্তারিত আমার লিখার শেষ দিকে "পরামর্শ" অংশে আছে। ফুলবাড়ি পোর্ট থেকে ২০০ রুপি পার অটোরিকশা (এক টোটো তে ৪ জন লাগেজ সহ বসতে পারে) করে ফুলবাড়ি বর্ডার চলে আসি। ফুলবাড়ি বাজার থেকে পার গাড়ি ৩০০ রুপি করে টোটো নিই (৭/৮ জন বসা যায়) । এই টোটো আমাদের শিলিগুড়ি জংশনের কাছে নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে ২ টা বলেরো করে আমরা ১৬ জন গ্যাংটকের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। পথে রাংপো চেকপোস্ট থেকে আমরা সিকিমে প্রবেশের Inner Line Permit নিই।
Inner Line Permission এর জন্য যা যা প্রয়োজনঃ
- 2*2 Photo 1 Copy
- Visa Photocopy
- Passport Photocopy
গ্রুপের একজন/দুইজন সবার ডকুমেন্টস সহ পাসপোর্ট নিয়ে গেলে উনারাই ফর্ম ফিল আপ করে পার্মিশন দিয়ে দিবেন। এবং সবার পাসপোর্টে এন্ট্রি সিল দিয়ে দিবেন। আমরা ১৫ দিনের পার্মিশন নিয়ে ছিলাম। Rangpoo Checkpost Contact Number +91 3592 209 090
বলেরো গাড়ি এর ড্রাইভার আমাদের শিলিগুড়ি তে এক এজেন্সি এর মাধ্যমে গ্যাংটক এ Hotel Splendid Hill নামে এক হোটেলে ১৬ জনের জন্য ৪ টা রুম ৮৮০০ রুপি ২ রাতের বুক করে দেয়। গ্যাংটক এর এই হোটেলে উঠার পর মনে হয়েছে শিলিগুড়ি থেকে এজেন্সির মাধ্যমে হোটেল বুক না করে গ্যাংটকে এসে হোটেল বুক করলেই ভালো হত। স্টাফদের ব্যবহার ভালো লাগে নি। গ্যাংটকে এই হোটেলে না উঠার জন্য আমি রেকমেন্ড করব। রাত ৯ঃ৩০ বেজে যায় গ্যাংটক পৌছাতে। হোটেলে উঠে লাগেজ রেখে বেরিয়ে পরি ডিনারের জন্য। রাত অনেক হয়ে যাওয়ায় তেমন কোনো খাবার হোটেলই খোলা পাচ্ছিলাম না। ইতোমধ্যে আমাদের ট্যূর অপারেটর Milan Tamang দাদাকে আমাদের অবস্থান জানাই এবং দাদা আমাদের কে নিয়ে এমজি মার্গের নিচে শেরপা রেস্টুরেন্টে নামে এক নেপালি খাবার দোকানে নিয়ে যায় সেখানে সবাই ডিনার করি। ডিনার করে পরের দিন গ্যাংটক সাইট সিইং এর জন্য মিলান দার মাধ্যমে ৩ টা গাড়ি ঠিক করি (গ্যাংটক সাইটসিং এর জন্য ৭/৮ সিটার বড় গাড়ি এলাউড না, তাই আমরা ২ টি ৬ সিটার এবং একটা ৪ সিটার নিই)। মিলান দাদার সাথে প্রয়োজনীয় কথা শেষ করে সবাই এমজি মার্গে চলে আসলাম। সেখানে কিছুক্ষন সময় কাটিয়ে হোটেলে ফিরে আসলাম। যেহেতু সবাই খুবই টায়ার্ড ছিলাম আর পরের দিন গ্যাংটক সাইট সিইং আছে তাই বেশি দেরি না করে সবাই ঘুমিয়ে পড়লাম।
তৃতীয় দিন (২২ জানুয়ারী)
সকাল ৮ টার দিকে সবাই উঠে পড়লাম। ফ্রেশ হয়ে বেড়িয়ে গেলাম। হোটেলের বাইরে মিলান দা আসলেন। এসে আমাদেরকে এমজি মার্গে নিয়ে গেলেন। সেখানে সবাই সকালের নাস্তা করে নিলাম। সেইসাথে পরের দিন নর্থ সিকিম যাবার পার্মিশন পাবার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস মিলান দার কাছে দিয়ে দিলাম। দাদা সেদিনই আমাদের ১৬ জনের লাচুং (নর্থ সিকিম) যাবার পার্মিশন করে দিয়েছেন। ইতোমধ্যে আমাদের সাইট সিইং এর গাড়ি চলে আসে আমরা সবাই গাড়ি তে করে বেরিয়ে পরি।
গ্যাংটক সাইটসিইং এ আমরা যেসব স্পট কাভার করিঃ
- Rumtek Monastery
- Jawaharlal Nehru Botanical Garden (হাতে টাইম কম ছিলো বলে ভিতরে যাই নি)
- Shanti View Point
- Ropeway (ক্যাবল রাইড অফ ছিলো)
- Namgyal Institute of Tibetology
- Flower Exhibition Centre
- Do Drul Chorten Monastery

এম জি মার্গ

সাইটসিইং শেষ করে গাড়ি আমাদের এমজি মার্গে নামিয়ে দেয়। সেখানে নেমে আমরা খাবারের দোকান খোজ করতে থাকি৷ যেহেতু ইন্ডিয়া প্রবেশের পর তখন অবধি ভালো করে কোথাও খাওয়া হয়নি তাই সবারই ইচ্ছা ছিলো ভালো বাঙালী খাবার পাওয়া যায় এমন দোকানে যাওয়া। এম জি মার্গে ‘খান আনকেলস কিচেন’ নামে এক দোকানের খোজ পাওয়া গেলো। সবাই বসে আয়েশ করে খেয়ে নিলাম। খাবার পর সবাই বেড়িয়ে পরলাম লোকাল মার্কেটে। টুকিটাকি কেনাকাটা করে এম জি মার্গে বেশ কিছুক্ষন সময় কাটিতে ১০ টা নাগাদ হোটেলে ফিরলাম। হোটেলে ঢুকেই সবাই সবার লাগেজ, ব্যাকপ্যাক গুছানোর কাজ টা করে ফেলি কারন পরের দিন আমরা পরের দিন সকাল সকাল সকাল নর্থ সিকিমের জন্য বেড়িয়ে পরব।
চতুর্থ দিন (২৩ জানুয়ারী)


লাল মার্কেট থেকে গ্যাংটক ক্যাপিটাল ভিউ
সকাল ৭ টার মধ্যে সবাই ঘুম থেকে উঠে পরলাম। ফ্রেশ হয়ে Hotel Splendid Hill থেকে চেক আউট করে বেড়িয়ে পরি। হোটেলের বাইরে মিলান দা আমাদের সাথে দেখা করেন। সেখান থেকে এম জি মার্গের নিচে লাল মার্কেট রোডে Hotel Lohnark Residency তে নিয়ে যান। আমরা সে হোটেলে আমাদের লাগেজ গুলো রাখি। ঐদিন আমরা চেক ইন করি নি। চেক ইন করেছি নর্থ সিকিম ঘুরে এসে পরের দিন। হোটেলের রিসিপশনে আমরা মিলান দা কে ছাংগু লেক যাবার পার্মিশন এর জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস দিয়ে দিলাম। তারপর সেখান থেকে বের হয়ে নাস্তা করে নর্থ সিকিম ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে গিয়ে মিলান দা আমাদের ১৬ জনকে ২ টা ৮ সিটার সুমো গাড়িতে উঠিয়ে দিলেন।

তিস্তা নদী
ঐ দুই গাড়িতে করেই আমরা গ্যাংটক থেকে স্টার্ট করে লাচুং - ইউয়ামথাং ঘুরে পরের দিন গ্যাংটকে পৌছে দেয়। নর্থ সিকিম ঘুড়ার পুরো প্রক্রিয়াটা একটা প্যাকেজের মধ্যে হয়। প্যাকেজে ২ দিনের জন্য গাড়ি, ২ টা লাঞ্চ, ১ টা ডিনার, ১ টা ব্রেকফাস্ট, ১ রাতে লাচুং এ হোটেলে থাকা সব ইনক্লুডেড। গ্যাংটক থেকে বের হতে হতে ১২ টা বেজে যায়। ২ টার দিকে Rang Rang Bridge এর কাছের এক হোমস্টে তে আমরা নামি। এখানে আমরা আমাদের প্যাকেজে ইনক্লুডেড লাঞ্চ করি। সেখানে লাঞ্চ করে আবার গাড়ি চেপে রওনা হই লাচুং এর উদ্দেশ্যে। পথে Chungthang Hydroelectric Power Plant এ নেমে আমরা কিছুক্ষন তিস্তা নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করি। তারপর আবার গাড়িতে উঠে পরি। লাচুং এ কাছাকাছি পৌছাতেই স্নোফল শুরু হয়। জানালা কাচ খুলে প্রথম বারের মত স্নো ধরার অভিজ্ঞতা হয়। লাচুং পৌছাতে পৌছাতে বেজে যায় প্রায় ৭ টা। লাচুং এ আমাদের থাকার জন্য এক কটেজ এর ব্যবস্থা করা হয়। ২ তলায় ৪ রুম আর নিচ তলায় ১ রুম। কটেজে ব্যাগ রেখে বেরিয়ে পরি আশে পাশে হেটে দেখতে। এদিক সেদিক হাটতে হাটতে কিছুক্ষন সময় কাটিয়ে কটেজের কাছে এক চায়ের দোকানে সবাই মিলে চা খেতে ঢুকে পরি। সেখানে বেশ কিছুক্ষন আড্ডা হল। সাথে আমাদের গাইড কাম ড্রাইভার পূর্না দা ও ছিলেন। বেশ কিছুক্ষন আড্ডা হল। ৮ টায় কটেজ এর দিদি আমাদের ডিনারের জন্য ডাকেন। ডিনারের পর কিছুক্ষণ গল্পগুজব করে সময় কাটিয়ে ১১ টা নাগাদ ঘুমিয়ে পরি৷ পর দিন খুব ভোরে উঠে ইয়ামথাং এর উদ্দেশ্যে যেতে হবে।
পঞ্চম দিন (২৪ জানুয়ারী)

সাদা মেঘে ঢাকা পাহাড়
ভোর ৫ টায় উঠে পরলাম সবাই। ভোরের আলোতে কটেজের বাইরে এসে তো অবাক। আমাদের কটেজ ছিলো পাহাড়ে ঘেরা। আর সেই সুউচ্চ পাহাড় গুলোর চূড়াতে মেঘ জমে ছিলো। ফ্রেশ হয়ে ব্রেড বাটার দিয়ে নাস্তা করে গাড়ি চেপে রওনা দিলাম ইয়ামথাং এর উদ্দেশ্যে। যাবার পথে পূর্না দা বলছিলো যে ইয়ামথাং এর রাস্তায় বরফ থাকার কারনে চেক পোস্ট থেকে ৬ কিমি এর পর আর ভিতরে যাবার পার্মিশন দিচ্ছে না। আমরা বলেছিলাম যে ইয়ামথাং চেকপোস্ট যেটা কিনা লাচুং থেকে ২ কিমি দূরে সেখানে গিয়ে যদি এমনটা হয় যে বরফের জন্য আর ভেতরে যাওয়া যাবে না সেক্ষেত্রে কাটাও চলে যাবো। অল্প কিছুক্ষনের মধ্যে চেকপোস্ট পৌছে গেলাম। সেখানে কথা বলে জানতে পারলাম যে বরফের জন্য রাস্তা বন্ধ। তাই ভেতরে যাবার পার্মিশন দেওয়া হচ্ছে না। তাই সেখান থেকে রওনা করি কাটাও এর উদ্দেশ্যে। কিছুক্ষন যাবার পর শুরু হয় স্নোময় রাস্তা! রাস্তা আর দুপাশের পাহাড় সব সাদা স্নোতে ঢাকা। প্রায় ৮ টা নাগাদ আমরা কাটাও পৌছাই। সেখানে টেম্পারেচার ছিলো তখন -৯!

কাটাও থেকে ফেরার পথে
প্রায় ৯ টা পর্যন্ত কাটাওতে সময় কাটিয়ে আমরা আবার লাচুং এর পথ ধরি। রাস্তায় আমরা একটা ভিউ পয়েন্টে কিছুক্ষন সময় দাড়াই। লাচুং পৌছাতে প্রায় ১১ টা বেজে যায়। কটেজে পৌছে ব্যাগ নিয়ে দিদিকে বিদায় জানিয়ে আমরা গ্যাংটকের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করি। প্রায় ২ টা নাগাদ আমরা Rang Rang Bridge এর কাছের ঐ হোমস্টে তে পৌছে লাঞ্চ করে নিই। গ্যাংটক পৌছাতে পৌছাতে প্রায় সন্ধ্যা নেমে আসে। ঐদিন গ্যাংটক এ আমরা আমাদের নতুন হোটেলে Hotel Lohnark Residency তে উঠি। রুমে ব্যাগ রেখে ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে পরি গ্যাংটক রোমিং এ। টুকটাক শপিং করে ১০ টা নাগাদ রুমে ফিরে আসি। এসে মিলান দার সাথে কিছু বিষয়ে কথা বলি। আমরা ইতিমধ্যে জানতে পেরেছিলাম যে ঐদিন(২৪ জানুয়ারি) ছাঙ্গু লেক যাবার রাস্তা বন্ধ থাকায় কোনো পর্যটক যেতে পারেন নি। তাই দাদা কে আমরা ঐদিন রাতেই জানিয়ে দিই যে যদি ওয়েদার কন্ডিশনের জন্য আমরা পরেরদিন (২৫ জানুয়ারি) ছাঙ্গু লেক না যেতে পারি তাহলে ঐদিন আমরা নামচি আর রাভাংলা সাইট সিইং করে পেলিং চলে যাবো। দাদার সাথে কথা শেষে গল্পগুজব করে কিছুক্ষন সময় কাটিয়ে ঘুমিয়ে পরি।

মেঘের সমান উচ্চতার রাস্তা দিয়ে চলছিল আমাদের গাড়ি
ষষ্ঠ দিন (২৫ জানুয়ারী)

চারধামের শিব বিগ্রহ
সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেই মিলান দা কে কল দেই ছাঙ্গু লেকের রাস্তার আপডেট নিতে। দাদা জানান যে রাস্তা বন্ধ। তাই আগে থেকে দাদা আমাদের জন্য ছাঙ্গু লেকের পার্মিশন করিয়ে রাখার পরও কেবল রাস্তা বন্ধ থাকার কারনে আমাদের আর ছাঙ্গুলেক যাওয়া হয়নি। রেডি হয়ে ৯ টা নাগাদ গাড়ি চেপে বেড়িয়ে পরলাম। উদ্দেশ্য নামচি আর রাভাংলা সাইট সিইং করে পেলিং এ রাত্রীযাপন। গ্যাংটক থেকে নামচি রাভাংলা যাবার পথের সৌন্দর্য বর্ণনাতীত! আমার এক্সপেরিয়েন্স করা সেরা রোড ট্রিপ ছিলো সেটা। প্রায় ১ টার দিকে আমরা নামচির চার ধামে পৌছাই। (রাস্তায় আমাদের গাড়ির হুইল চেঞ্জ করতে হয়েছে বিধায় কিছু সময় বেশি লাগে)।

দিনের রাভাংলা বুদ্ধা পার্ক

রাতের রাভাংলা বুদ্ধা পার্ক
চারধাম মূলত একটি শিব মন্দির বিশাল এক শিব বিগ্রহের চারপাশে অনেক গুলো মন্দির আছে এই ধামে। প্রায় দেড় ঘন্টা সময় সেখানে ছিলাম আমরা সবাই। সেখান থেকে বের হয়ে রওনা করি রাভাংলার উদ্দেশ্যে। প্রায় ৪ঃ৩০ নাগাদ পৌছাই রাভাংলার Tathagata Tsal (Buddha Park) এ। প্রায় সন্ধ্যা হয়ে যাবে যাবে অবস্থা। আলো ছিলো খুবই কম। রাভাংলার এই বুদ্ধা পার্কের সৌন্দর্য দিনের সূর্যের আলোয় একরকম আর রাতে আরেক রকম। ৫ টার পর আর মূল ভবনে অবস্থানের অনুমতি নেই। তাই ৫ টার মধ্যে আমরা মূলভবন ত্যাগ করে বাইরে এসে পার্কের সৌন্দর্য উপভোগ করি। ৬ টা পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করে পেলিং এর উদ্দেশ্যে রওনা দিই। প্রায় ৮ টা বেজে যায় পেলিং এর হোটেলে পৌছাতে পৌছাতে। আমাদের হোটেলের নাম ছিলো Hotel Tashi Gyaltsen. এটা Middle Pelling এ। সবাই ভীষন রকমের টায়ার্ড ছিলাম। রুমে ব্যাগ রেখে ফ্রেশ হয়েই বেড়িয়ে পরি খাবারের সন্ধানে। পেলিং অনেক ছোটো একটা শহর ৮-৯ টা থেকেই সব দোকান বন্ধ হতে শুরু করে। ইন্সট্যান্ট খাবার খুব কম দোকানেই পাওয়া যায়। সাধারণত খাবার অর্ডার করলে তারা এক/দেড় ঘন্টার মধ্যে সেটা প্রস্তুত করে দেয়। আমরা Lower Pelling এর Bhansaghar নামের এক হোটেলে খাবার অর্ডার করি। প্রায় ঘন্টা খানেক পর খাবার রেডি হলে সবাই একসাথে বসে ডিনার করে নিলাম। আশেপাশে কিছু সময় রোমিং করে রুমে ফিরে যাই। পরের দিন অনেক পথ যেতে হবে তাই সে রাতে খুব বেশি দেরী না করে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পরলাম।
সপ্তম দিন (২৬ জানুয়ারী)

আমাদের পেলিং এর হোটেলের জানালা থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা
সকাল সকাল ঘুম থেকে জানালা খুলে অবাক! কাঞ্চনজঙ্ঘা এতো কাছে থেকে দেখার সৌভাগ্য আগে কখনও হয় নি। কিছুক্ষন মুগ্ধ দৃষ্টিতে কাঞ্চনজঙ্ঘার সৌন্দর্য অবলোকন করলাম। ফ্রেশ হয়ে আমাদের হোটেলেই ব্রেকফাস্ট করে নিলাম। ব্রেকফাস্টের অর্ডার আগের রাতেই বলা ছিলো। ব্রেকফাস্ট সেরে গাড়িতে চেপে রওনা Pelling Skywalk. এটি ভারতের প্রথম Skywalk. পৌছাতে সময় লাগে ১৫ মিনিট। গ্লাসের ব্রিজে দাড়িয়ে এতো কাছে থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার অভিজ্ঞতা ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়। Skywalk এর সাথেই আছে Gaint Statue Sangachuling Monasetery / Chenrezing. এই Monastery এর দোতালা থেকে অনেক সুন্দর ভিউ দেখা যায়।

পেলিং স্কাইওয়াক থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা
নিচে টেলিস্কোপ দিয়ে দেখারও ব্যবস্থা আছে। প্রায় ১১ টা পর্যন্ত অবস্থানের পর আমরা সেখান থেকে চলে যাই Rabdentse Bird Park এ। গাড়ী করে যেতে সময় লাগে যেতে সময় লাগে ২০ মিনিটের মত। এই যায়গা টা পাখি দেখার একটা স্পট হলেও তেমন কোনো পাখিই আমাদের চোখে পড়ে নি। পার্কটিতে ৩০ মিনিটের মত সময় ছিলাম। সেখান থেকে বেড়িয়ে পথ ধরি দার্জিলিং এর উদ্দেশ্যে। পেলিং থেকে দার্জিলিং এর দূরত্ব ৭৪ কিলো। কিন্তু আমাদের মেল্লি চেকপোস্ট থেকে পাসপোর্ট এ এক্সিট সিল নিতে হবে। তাই পেলিং থেকে মেল্লি চেকপোস্ট হয়ে দার্জিলিং যেতে আমাদের মোট ১১৪ কিলো পথ পাড়ি দিতে হয়।

Pelling Bird Park

পেলিং থেকে দার্জিলিং যাবার পথে
পথে লাঞ্চ হিসেবে খেয়ে নিই নুডুলস। দার্জিলিং এ পৌছাই প্রায় ৫ টা নাগাদ। মল রোডে Hotel Sambala তে আমরা উঠি। রুমে ব্যাগ রেখে ফ্রেশ হয়ে বেড়িয়ে পড়ি রোমিং এ। Mall Market, আর New Mahakal Market এ শাল, Souvenir এগুলো পাওয়া যায়। টুকটাক শপিং করে সবাই চলে গেলাম Islamia Restaurant এ। সেখানে পেট পুরে খেয়ে নিলাম। অনেক দিন পর সেদিন আমরা প্রপার বাংলা খাবার পেয়েছিলাম বলে কথা! রাতে খুব বেশি দেরী না করে তাড়াতাড়ি শুয়ে পরি কারন পরের দিন ভোর ৪ টায় বের হতে হবে সানরাইজ দেখার জন্য।

অষ্টম দিন (২৭ জানুয়ারী)
ভোর ৩ টা থেকেই ডাকাডাকি করে ঘুম থেকে তুলে দিলাম। ৪ টার মধ্যে সবাই রেডি। আমাদের গাড়ি চলে আসলে ৪ঃ৩০ এ রওনা দিই টাইগার হিলের উদ্দেশ্যে। ৩০ মিনিটের মত লাগে পৌছাতে। পিকে যেয়ে সূর্যোদয় মুহূর্তের জন্য অপেক্ষা করতে থাকি। এমন সময় মেঘের মধ্যদিয়ে পাহাড়ের আড়াল থেকে উকি দেয় সূর্য। সূর্যোদয় এর মনোরম দৃশ্য উপভোগ করে আমরা সেখান থেকে চলে যাই বাকি স্পট কাভার করতে।

টাইগার হিলে সূর্যোদয়ের মূহুর্ত
দার্জিলিং এ যেসব স্পট কাভার করি সেদিন সেগুলো হলঃ
- Tiger Hill
- Japanese Buddhist Temple
- Peace Pagoda
- Batasia Loop
- Padmaja Naidu Himalayan Zoological Park
- Himalayan Mountaineering Institute
- Himalayan Mountaineering Institute Museum
এই স্পট গুলো দেখতে দেখতে প্রায় ১২ টা বেজে যায়। আমরা চলে যাই আমাদের হোটেলে। সেখান থেকে চেক আউট করে আমরা আরেক গাড়ি করে রওনা দিই শিলিগুড়ির উদ্দেশ্যে। ৩ টার দিকে শিলিগুড়ি পৌছাই। শিলিগুড়ির মল্লাগুড়ি তে Hotel Central Plaza এর পাশে Hotel Royal Garden এ আমরা ছিলাম। Hotel Royal Garden Contact Number +91 96411 60760 ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে পরি শপিং এর জন্য। সেভক মোড়ে ভালো ভালো রেস্টুরেন্ট আছে। আমরা জাইকা বিরিয়ানি তে ঐদিন খাই। শিলিগুড়ির শপিংমল, মার্কেট গুলো রাত ৯ টার দিকে বন্ধ হয়ে যায়।
Army Statue
শপিং করে ১০ টা নাগাদ সবাই হোটেলে ফিরে আসি। আমাদের ট্যুরের লাস্ট রাত। সবাই মিলে অনেক রাত পর্যন্ত গল্পগুজব করি।
নবম দিন (২৮ জানুয়ারী- শেষ দিন)
সকাল ৭ টার দিকে উঠে পরি। গত কিছু জিনিস কেনার বাকি ছিলো। আগের রাতে মার্কেট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কিনতে পারি নি। তাই ঐদিন সকাল সকাল বেড়িয়ে পরলাম। বের হবার আগে হোটেলে চেক আউট করে লাগেজ ব্যাগ রিসিপশনের পাশের রুমে রেখে যাই। শপিং শেষ করে ১২ঃ৩০ নাগাদ হোটেলে ফিরে আসি। সেখান থেকে ৮ সিটার বোলেরো তে করে ফুলবাড়ি বর্ডার চলে যাই। ২ পাশের ইমিগ্রেশন শেষ করতে ৫ টা বেজে যায়। হানিফ বাসে করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিই। সকাল ৬ঃ৩০ নাগাদ আমাদের বাস গাবতলি পৌছায়।
কিছু পরামর্শঃ
১. ট্রাভেল ট্যাক্স ঢাকা থেকে দিয়ে যাওয়া ভালো এতে করে বর্ডারে সময় বাচে।
২. ঢাকা - বাংলাবান্ধা বর্ডার পর্যন্ত বাস মাত্র দুটি।একটা হানিফ আরেকটা খুব সম্ভবত শ্যামলী। তাই ডিরেক্ট বর্ডার বাসের টিকেট পেতে হলে যাওয়ার টিকেট আগে কেটে রাখাই ভালো। নন এসি বাস ভাড়া ৭০০। আমরা যাবার ১৮ দিন আগে হানিফের টিকেট করি। হানিফ এর শুধুমাত্র গাবতলি বালুরমাঠ কাউন্টার থেকেই বাংলাবান্ধার টিকেট দেওয়া হয়।
[হানিফ এন্টারপ্রাইজ, গাবতলি বালুরমাঠঃ 01708-139890, 01708-139891]
রিটার্ন টিকেট হানিফ এন্টারপ্রাইজ এ কল করে কনফার্ম করেছিলাম শিলিগুড়ি থেকে আসার ১ দিন আগে
দেলোয়ার ভাই (হানিফ এন্টারপ্রাইজ, বাংলাবান্ধা)
84361 70825 (ইন্ডিয়ান নাম্বার)
01595-572706]
৩. বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন এ হানিফ এন্টারপ্রাইজ এর দেলোয়ার ভাই হেল্প করেন। যাওয়ার সময় বাস থেকে নামে আমাদের সবার পাসপোর্ট উনাকে দিয়ে দিই। ১৬ জনের জন্য পোর্ট উন্নয়ন ফি সহ মোট ২৫০০ টাকা দিই। আসার সময়ও উনিই আমাদের হেল্প করেন। আসার সময় ১৬ জনের জন্য পোর্ট উন্নয়ন ফি সহ মোট ২৮০০ টাকা দিতে হয়েছিলো। বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন এ শুধু এরাইভাল/ডিপার্চার সিল নিতে হয়। লাগেজ ক্লিয়ারেন্স এর কোনো সিল দেয় না।
৪. ফুলবাড়ি পোর্ট এ ২ টা সিল নিতে হয় একটা এরাইভাল/ডিপার্চার সিল আরেকটা লাগেজ ক্লিয়ারেন্স সিল। এরাইভাল/ডিপার্চার এর লোকেরা খুব একটা নেগোশিয়েট করে না। যাবার এবং আসার সময় পার পার্সন ১০০ করে নিয়েছে। বেশি ঝামেলা পোহাতে হয় লাগেজ ক্লিয়ারেন্স এ। যাবার সময় ওখানে পারপারসন ১০০ টাকা করে নিলেও আসার সময় আমাদের সাথে শপিং ছিলো বলে প্রথমে ৫০০ করে পারপারসন চায়। পরে অনেক নেগোসিয়েশন করে ১৬ জনের জন্য মোট ৪৫০০ টাকা দিয়েছিলাম। শপিং থাকলে ওরা সব কিছুর মেমো দেখাতে বলে। আমি পরামর্শ দিবো শপিং করলে সেগুলো লাগেজে রাখতে আর বাইরে হ্যান্ড ব্যাগে টুকটাক চিপ্স, চকলেট এগুলো রাখতে। মেমো মিলিয়ে মিলিয়ে দেখে না তবে বেশি মেমো দেখলে ওরা বেশি শপিং আছে এরকমটা আন্দাজ করে ফেলে এবং বেশি টাকা চায়। তাই মেমো ২/১ টার বেশি দেখানোর দরকার আছে বলে মনে হয়না। কারন এরা লাগেজ খুলে চেক করে না। যাস্ট এক্সরে স্ক্যান এর সময় মেটাল ডিটেক্টর এ কিছু দেখলে বলে ব্যাগ খুলে মেটাল টাইপের কি আছে সেটা দেখাতে।
৫. ফুলবাড়ি পোর্টে যারা কারেন্সি এক্সচেঞ্জ করাবেন তারা যেকেনো একটা মানি এক্সচেঞ্জার এ যাবেন ভেবে চিন্তে এবং সেইখানে বার্গেন করে কারেন্সি এক্সচেঞ্জ করে নিবেন। এখানে একটা সিন্ডিকেট রেট আছে এবং সেটা অনেক কম। আপনি যদি বিভিন্ন এক্সচেঞ্জারের কাছে যান তবে তারা আপনাকে সিন্ডিকেট রেটের বেশি দিবে না।
৬. ফুলবাড়ি পোর্ট থেকে ২০০ রুপি তে টোটো/ অটো রিক্সা করে ফুলবাড়ি বাজার চলে যেতে পারবেন ইজিলি। সেখান থেকে ৩০০ রুপি করে ৩ হুইলারে করে শিলিগুড়ি জংশন। শিলিগুড়ি জংশন এ গ্যাংটক ট্যাক্সি স্ট্যান্ড থেকে ডিরেক্ট গ্যাংটক এর ৮ সিটার বলেরো পেয়ে যাবেন। যাবার ভাড়া নিবে ২৩০০ রুপি।
৭. গ্যাংটক এমজি মার্গে নেমে খুজলেই অনেল রিজনেবল প্রাইসে হোটেল পাওয়া যায়।
৬. সবশেষে আমাদের ট্যূর অপারেটর মিলানদার সম্পর্কে ডিটেইলস বলি। মিলান দা আমাদের পুরো সিকিম - দার্জিলিং ট্যুরের অপারেটর ছিলেন। পুরো ট্যূরের সমস্ত ট্রান্সপোর্ট + হোটেল এর ব্যবস্থা উনিই করে দেন।
[Milan Da Gangtok - Lachung - Gangtok- Namchi - Ravangla - Pelling - Darjeeling - Shiliguri Package for 16 Person Details
- Gangtok Sightseeing: 6,500 IC ( 2 six seater, 1 four Seater)
- North Sikkim Package for 16 Person: 24,000IC + extra 5,000IC for Katao
- Start From: Gangtok, Sightseeing: Namchi, Ravangla, Drop at Pelling. 2 Tata Sumo Cost: 14000 IC
- Pelling Hotel: 5000 IC
- Pelling SightSeeing - Melli Checkpost - Darjeeling Drop: 17,000 IC
- Darjeeling Hotel: 5,500 IC
- Darjeeling Sightseeing, Shiliguri Drop 2 Bolero Cost: 12,000 IC]
মিলান দা খুবই ফ্রেন্ডলি একজন মানুষ। তার ব্যবহার ও অনেক অমায়িক। আমাদের ট্যূরটাকে এতো সুন্দর ভাবে সম্পন্ন করা কেবল মিলানদার মত একজন গাইড ছিলো বলেই সম্ভব হয়েছে। ধন্যবাদ টিওবি কে। কারন এখানে একজনের পোস্ট থেকেই আমি মিলান দার সম্পর্কে জানতে পারি।
মিলান দাদার Whatsapp Number : +91 96098 79420 (দাদার সাথে হিন্দিতে কন্টাক্ট করলেই বেটার)
এর বাইরে গ্যাংটক এর Hotel Splendid এ ১৬ জনের ৪ রুমের খরচ হয় প্রতি দিনের জন্য মোট 4,400 IC করে।
শিলিগুড়ি তে ১৬ জনের ৪ রুমের খরচ হয় প্রতি দিনের জন্য মোট 5900 IC করে।
শিলিগুড়ি থেকে ফুলবাড়ি পোর্ট পর্যন্ত ২ টা ৮ সিটার বলেরোর মোট ভাড়া ১৬০০ রুপি
হোটেল - ট্রান্সপোর্ট এর খরচ কমাতে চাইলে সবচেয়ে ভালো হয় যদি গ্রুপ সাইজ ৭/৮ এর গুনিতক রাখা যায়।

কাটাও যাবার পথে
শীতের কাপড় আমরা বাংলাদেশ থেকেই নিয়ে গেছিলাম। আর কাটাও যাবার সময় স্নোবুট ভাড়া করে নিয়েছিলাম আমাদের কটেজ থেকে।
গ্যাংটক এর সব দোকানের খাবার হয়ত সবার ভালো লাগবে না। তবে হোটেল আসলাম, খান আনকেলস কিচেন এগুলো ট্রাই করা যেতে পারে।
2*2 Photo, Visa Photocopy, Passport Photocopy, Inner Line Permit গ্রুপের সবাই এই ডকুমেন্টস গুলো মিনিমাম ১০/১২ কপি সাথে রাখবেন। হোটেল চেক ইন সহ ছাংগু লেক, নর্থ সিকিম যাবার পার্মিশনের জন্য এসব ডকুমেন্টস দিতে হয়। এছাড়া স্টুডেন্ট হয়ে থাকলে সাথে আইডি কার্ড রাখলে অনেক এন্ট্রি টিকেটে ছাড় পাওয়া যায়।

কাটাও থেকে ফেরার পথে
এই পুরো ট্যূর কমপ্লিট করতে আমাদের জনপ্রতি প্রায় ১৪০০০ বাংলাদেশি টাকা করে খরচ হয়েছে( বাস টিকেট, বর্ডার স্পীড মানি, খাবার, হোটেল, সাইটসিইং এর ট্রান্সপোর্টেশন, বিভিন্ন প্লেসের এন্ট্রি টিকেট সব সহ )।
[বিদেশের মাটিতে দেশ এর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয় এরকম কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকবেন। সেখানকার সংস্কৃতির প্রতি সর্বদা শ্রদ্ধাশীল হবেন। সিকিমের লোকাল মানুষেরা অনেক ফ্রেন্ডলি। ঘুরার সময় চিপ্স চকলেট ইত্যাদি খেয়ে খালি প্যাকেট গুলো যত্রতত্র না ফেলে নিজের কাছে সংরক্ষন করুন]
Written Byসুস্মিত দাশ গুপ্ত
Leave a Reply
Or, fill the comment and register with social network
0 Comments