সাজেকের চূড়ায়
সাজেক ভ্যালী, বাঘাইছড়ি, রাঙামাটি
প্রথম বার সাজেক ভ্রমণ প্রত্যাশী ব্যাচেলর দের জন্য ট্যুর প্ল্যান:
আনুমানিক বাজেট ৩০০০ টাকা (তিন দিন- দুই রাত , যাওয়া আসা ছাড়া)
ব্যাচেলরদের বলতেছি এই কারণে যে ইহা কোন উচ্চাকাঙ্খী ট্যুর প্ল্যান নয়।
রাতের বাসে চলে যান খাগড়াছড়ি । ভাড়া নিবে ৫২০ টাকা।সকালে নেমে হোটেল ঠিক করে নিন। শাপলা চত্বর এর দিকটায় ১০০০ টাকায় মোটামুটি ভালো মানের ডাবল বেডের রুম পেয়ে যাবেন। ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে বেরিয়ে পড়ুন। মিশন রিসাং ঝর্ণা -আলুটিলা গুহা। খাগড়াছড়ি লোকাল বাস ষ্ট্যান্ড থেকে একটু পর পর বাস ছেড়ে যায়। বাস আলুটিলা -রিসাং ঝর্নার মুখ হয়ে ই যাবে। এডভেঞ্চার প্রিয় হলে বাসের ছাদে চড়ে যেতে পারেন। ১০ টাকায় রোলার কোষ্টার স্বাদ মনে হয় অন্য কোথায় পাবেন না। আশা করি জার্নি টা সারাজীবন মনে থাকবে না। যাই হোক রিসাং ঝর্নার মুখে নেমে পড়ুন। ভাড়া নিয়ে অইতো ১০ টাকা। ব্যাস আধাঘন্টার ঢালু পথে হেটে রিসাং ঝর্ণা। ফেরার পথে আবার বাস ধরুন। এবার ৫ টাকা দিয়ে চলে আসুন ভয়ঙ্কর সৌন্দর্যের আলুটিলা গুহা। গুহার মুখে ছোট ছোট বাচ্চাদের কাছে ৫-১০ টাকায় মশাল পাবেন। তবে একটা অনুরোধ নির্বোধ এর মতো গুহার মাঝ রাস্তায় মশাল ফেলে আসবেন না।
মিশন আলুটিলা শেষে এবার শহরে ফেরার পালা।
বাস ভাড়া এবার শহর পর্যন্ত ৫ টাকা।
বিকেল এসে খাওয়াদাওয়া শেষে প্রধান কাজ হবে চাদের গাড়ীর খোজ করা। ১২-১৪ জন উঠা যায় এমন চাদের গাড়ী একদিন সাজেক ষ্টে করা সহ ৭০০০-৭৫০০ টাকা নিবে। আর এক্ষেত্রে আপনাদের গ্রুপ ছোট হলে যে হোটেল এ খাবেন সেখানে বলে রাখবেন অন্য কোন ছোট গ্রুপ পেলে যাতে আপনাদের জানায়। একান্তই গ্রুপ না পেলে সি এন জি তে দিঘিনালা চলে যাবেন সকাল বেলা। ওখানও থেকে কোন গ্রুপ না পেলে ৮০০ টাকায়(২ জনের) একদিনের জন্য মোটরসাইকেল পাবেন সাজেক যাবার্।
সকাল ৮ টার আগেই শহর থেকে বের হবেন যদি ১০ টার এস্কোর্ট ধরতে চান।
ব্যাস সাজেক পৌছে থাকার বন্দোবস্ত করাই হবে প্রথম কাজ। আদিবাসীদের কটেজ এ থাকতে পারবেন যাদের বাজেট সীমিত। প্রতিজন ২০০ টাকা করে নিবে। আর ভালো ভিউ আর আরেকটু উন্নত চাইলে রিসোর্ট গুলাতে ৪ জনের থাকার প্রতি রুম পড়বে ২০০০-২৫০০ টাকা। যাই হোক দিন টা হজাছড়া ঝর্না ও রুইলুই পাড়াতেই কাটিয়ে দিন। সন্ধ্যার পর হেলিপেডে সময় কাটাতে ভুলবেন না।ভোরে উঠে মেঘ সমুদ্রে দৃষ্টি ভেজাবেন। সকালে চলে যাবেন কংলাক পাড়ায়। সৌন্দর্য দেখে মনে হবে সময়টা হয়তো খুব দ্রুতই ফুরাচ্ছে...
এবার ফেরার পালা । বিকেলের এস্কোর্টে চলে আসুন শহরে। রাতের ফেরার বাসের টিকেট আগেই করে রাখবেন।
খরচাবলী:
ঢাকা -খাগড়াছড়ি (৫২০*২ )
চাদের গাড়ী (৭০০০/১০ =৭০০)
১০ জনের গ্রুপ হিসেব করে
রিসাং -আলুটিলা (১০+৫+১০ -অটোভাড়া)
হোটেল খাগড়াছড়ি শহরে (১০০০/৪ =২৫০)
ডাবল বেডের রুম চারজন হিসেবে।
কটেজ সাজেক এ (২০০)
এবার আসি খাবার এর বিষয়ে :
খাগড়াছড়ি শহরে মনটানা হোটেল খেতে পারেন। বেশ ভালো সার্ভিস ওদের্। প্রথম দিন খাগড়াছড়ি শহরে ২০০ টাকা খাবারের বাজেট ধরুন।
আর সাজেক এ খাবারের দাম একটু বেশী। প্রতিবেলা ১৫০-২০০ পড়বে। খরচ কমাতে চাইতে দীঘিনালা থেকে মুরগী ,আলু কিনে নিতে পারেন। চাদের গাড়ির ড্রাইভার কে বললেই সব
ম্যানেজ করে দিবে।
আর রান্না যাদের কটেজ এ উঠবেন তারাই করে দিবে। রান্নার জন্য কোন টাকা নিবে না শুধু প্রতিজনের ভাত -আলুভর্তার জন্য ৬০-৮০ টাকা নিবে প্রতিবেলা।
আর চাদের গাড়ীর জন্য টিপু ত্রিপুরার(হেল্পার) সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
খুবই আন্তরিক -০১৮২০৭১৫৮০০
0 Comments