• Create A Story
  • Find A Story
  • My Story List
  • Join Our Trip
  • Create A Story
  • Find A Story
  • My Story List
  • Join Our Trip

সেন্ট মার্টিন ও কক্সবাজার ভ্রমন বৃত্তান্ত 5

A Travel Story
In
205 views

সেন্ট মার্টিন ও কক্সবাজার ভ্রমন বৃত্তান্ত

৪ দিন ৫ রাত

03 Feb 2020, 06:02 am
( 1596 words, Reading Time: 7.98 min)

খরচঃ জনপ্রতি ৪৯০০ টাকা।
আগামী বছর থেকে সেন্ট মার্টিনে রাত থাকা যাবেনা এটা শোনার পর থেকে সেন্ট মার্টিন ট্যুরের প্লান করলাম। এবারের ট্যুর নিয়ে এতটাই এক্সাইটেড ছিলাম যে ট্যুরের আগে আমরা ককয়েকবার দারুচিনি দ্বীপ সিনেমা দেখে ফেলি, প্লান ও করলাম ওইভাবে। সিনেমাতে ওরা যেভাবে সেন্ট মার্টিন যায়, আমরাও সেভাবে যাবো।এভাবে গেলে খরচ ও কিছুটা কম হয়।ঢাকা থেকে ট্রেনে চিটাগং, চিটাগং থেকে বাই রোড টেকনাফ, টেকনাফ থেকে ট্রলারে সেন্ট মার্টিন। তবে প্যারা না নিয়ে ঢাকা থেকে সরাসরি বাসে টেকনাফ যাওয়া ভাল।আমাদের অবশ্য এভাবে যেতেই মজা লেগেছে।প্রথমে প্লান ছিল যে সরাসরি সেন্ট মার্টিন যাবো, সেন্ট মার্টিন শেষ করে কক্সবাজার এসে থাকবো।পরে ভেবে দেখলাম যে সেন্ট মার্টিন থেকে কক্সবাজার আসলে কক্সবাজার ভাল লাগবে না।এজন্য কক্সবাজার আগে থেকে তারপর সেন্ট মার্টিন যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম।

প্রথম রাতঃ

আমরা ছিলাম ৪ জন। ট্রেনের টিকিট আগে থেকেই কাটা ছিল। ৩ তারিখ রাত ৯ টায় 'মহানগর এক্সপ্রেসে' করে আমরা চিটাগং এর উদ্দ্যেশ্যে যাত্রা শুরু করি। নামে এক্সপ্রেস হলেও ট্রেন চলছিল লোকাল বাসের মত অবশেষে ট্রেন ভোর ৪.২০ এর দিকে আমাদের চিটাগং নামিয়ে দেয়। স্টেশন থেকে নিউ মার্কেটের দিক কিছুক্ষণ হাটাহাটির পর দেখি হানিফ এর একটা বাস কক্সবাজার যাবে।এমন সময় ওইখান থেকে বাস পাবো ভাবতেও পারিনি,তো তাড়াতাড়ি ৪ টা টিকিট কেটে বাসে উঠে পড়লাম।৫.২০ এর দিকে বাস ছাড়ে এবং ৮.৩০ এর দিকেই আমরা কক্সবাজার পৌছে যাই।
খরচঃ ট্রেনের টিকিট =৩৪৫ (জনপ্রতি)
চিটাগং - কক্সবাজার(বাস)=২৫০
‎খাবার ও অন্যান্য =২২৫
‎মোট=৮২০ ( জনপ্রতি)


প্রথম দিনঃ

ডলফিনের মোড়ের ওখানে বাস থেকে নেমেই আমরা হোটেল খোজা শুরু করি। লাবনি পয়েন্ট, সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে এদিকে হোটেল ভাড়া কিছুটা কম।তো কিছুক্ষণ খোজার পর আমারা Dynamic SH Resort এ উঠি।ডাবল বেডের রুমের ভাড়া ১০০০,জনালা দিয়ে সমুদ্র দেখা যায়। আশেপাশে অনেক হোটেল আছে,উঠার সময় অবশ্যই দামাদামি করে উঠবেন। হোটেল থেকে ফ্রেশ হয়ে ৯.৩০ এর দিকে রাধুনি রেস্টুরেন্ট এ নাশতা করে সি বিচে চলে যাই। সেখানে ৩ ঘন্টা মত ঝাপাঝাপি করে আবার হোটেলে ফিরে আসি।হোটেল থেকে ফ্রেশ হয়ে হালকা খাবার খেয়ে কলাতলির মোড়ের দিকে চলে যাই আমরা। কলাতলির মোড় থেকে একটা অটো ঠিক করি হিমছড়ি ও ইনানী যাওয়া-আসার জন্য।যেহেতু আমরা ৪ জন্য ছিলাম এজন্য অটোতে করে যাই।বেশি মানুষ হলে চান্দের গাড়িতে যাওয়া ভাল। যাওয়া আসার ভাড়া ঠিক করেছিলাম ৪০০,কিন্তু বিভিন্ন অজুহাতে উনি আরো ১০০ টাকা বেশি নিলেন।কক্সবাজারের ভেতর এই রাস্তাটা আমার অনেক ভাল লাগে,একপাশে সমুদ্র আরেকপাশে পাহাড়, আহা! এই দৃশ্য দেখতে দেখতে হিমছড়ি চলে আসলাম। হিমছড়ি পাহাড়ে উঠার জন্য ৩০ টাকা করে ৪ টা টিকিট কেটে সিড়ি বেয়ে উঠা শুরু করলাম।এখনে উঠার সময় অবশ্যই হাতে একটা পানির বোতল রাখবেন।হিমছড়ি ১ ঘন্টামতো ঘুরে আমরা ইনানী বিচের দিকে চলে গেলাম।পড়ন্ত বিকালে ইনানী বিচের মত সুন্দর দৃশ্য আর কোথাও নাই ইনানী তে সূর্যাস্ত দেখে আমরা অটোতে করে হোটেলে চলে আসলাম।হোটেলে কিছুক্ষণ রেস্ট নিয়ে রাধুনি রেস্টুরেন্ট থেকে রাতের খাবার খেলাম। রাধুনি রেস্টুরেন্ট এর খাবার ভাল, প্যাকেজ ১১০ টাকা থেকে শুরু।রাতের খাবার খেয়ে চলে আসলাম বিচে।প্রায় ৩ ঘন্টা মত বিচ ধরে হেটেছি সমুদ্রের গর্জন শুনেছি,গান গেয়েছি সবাই মিলে,ফানুস উড়িয়েছি। বিচ থেকে সাড়ে এগারোটার দিকে হোটেলে এসে দিলাম ঘুম,যেহেতু পরদিন খুব সকালে টেকনাফ যেতে হবে।
খরচ =জনপ্রতি ৬৯০ টাকা


দ্বিতীয় দিনঃ

সকাল ৫.৫০ এর দিকে হোটেল থেকে বের হয়ে,একটা অটো নিয়ে চলে আসি লালদীঘির মোড়ে। ৬.৩০ এর বাস ধরবো বলে তাড়াতাড়ি চলে আসি।সেখান থেকে স্পেশাল সার্ভিস নামে একটা বাসে উঠি।এই বাস প্রতি আধাঘন্টা পরপর ছাড়ে,টিকিট ১৪০ টাকা করে।নাম স্পেশাল সার্ভিস হলেও এটা আসলে লোকাল বাস। ৯ টার দিকে চলে আসলাম টেকনাফ বাস টার্মিনাল এ।সেখান থেকে ১০ টাকা অটো ভাড়া দিয়ে চলে আসলাম ট্রলার ঘাটে। ওইখানে ঢাকা কস্তুরি নামে এক রেস্টুরেন্ট এ নাশতা করে যখন বের হবো তখন হল ঝামেলা।ঢাকা থেকে সেন্ট মার্টিন উড়াবো বলে যে ফানুসগুলা নিয়ে গিয়েছিলাম দেখি সেগুলা নাই।২ জন কে ট্রলারের টিকিট কাটতে পাঠিয়ে দিয়ে ২ জন চলে গেলাম টার্মিনাল,যেখানে বাস থামে।অনেকক্ষণ খোজার পর কপাল ভাল ছিল দেখে পেয়েও গিয়েছিলাম।২৩০ টাকা করে(২০০ টাকা ট্রলার ভাড়া + ঘাট ভাড়া ৩০) ট্রলারের টিকিট কেটে ট্রলারে উঠে পড়লাম।ট্রলারে করে সেন্ট মার্টিন যাওয়া আসলে অন্যরকম মজা,যারা গিয়েছে শুধু তারাই জানে। ট্রলারে যেতে ২.৩০ ঘন্টা মত সময় লাগে। মালবাহী ট্রলার গুলা সেফ।একটাতে সর্বোচ্চ ৩৫-৪০ জন বসতে পারবেন,প্রতিটি ট্রলারেই লাইফ জ্যাকেট আছে। প্রথমে ১.৩০ ঘন্টা, ট্রলার যখন নাফ নদীতে থাকে তখন রোদে একটু কস্ট হয়।নাফ নদী থেকে যখন সমুদ্রে চলে আসে ট্রলার তখন শুরু হয় মজা। সমুদ্রের বাতাস সাথে বিশাল বড়বড় ঢেউ।ট্রলার শুধু দুলতে থাকে এদিকে ওদিকে,অন্যরকম অনুভূতি কাজ করে তখন। ৪০-৪৫ মিনিট এভাবেই চলতে চলতে অবশেষে চলে আসলাম স্বপ্নের সেন্ট মার্টিন।

সেন্ট মার্টিন দ্বীপের আরেক নাম দারুচিনি দ্বীপ। একসময় পর্তুগিজরা এসেছিলো এখানে,তো তারা এটার নাম দিয়েছিল দারদিউসি।স্থানীয় লোকজন তো আর দারদিউসি বলতে পারতো না,তারা বলতো দারুচি।দারদিউসি থেকে দারুচি,দারুচি থেকে দারুচিনি, দারুচিনি থেকে আলটিমেটলি এখন দারুচিনি দ্বীপ।

কি দেখার আছে এখানে?
কি নাই এখানে! পুরা সেন্ট মার্টিন দ্বীপ টাই একটা রহস্য। সেন্ট মার্টিনের এত রুপ যে বলে শেষ করা যাবেনা। সকালে এক রুপ তো বিকালে আরেক। সন্ধ্যায় একরকম তো রাতে আরেকরকম। জোয়ারে এক রুপ তো ভাটায় অন্য রুপ।
‎
জেটি ঘাটে উঠার পর অনেকে ২০ টাকা ঘাটভাড়া চাইতে পারে, কাউকে কোন টাকা দিবেন না।এখন শুরু হল হোটেল ঠিক করার পালা।এটার জন্য অবশ্য আমাদের তেমন বেশি বেগ পেতে হয়নি।ট্রলার থেকে নামার পর একটা লোক বললো যে হোটেল কি আগে থেকে বুক দেওয়া আছে।আমাদের যেহেতু আগেথেকে বুকিং দেওয়া ছিল না এজন্য আমরা তার সাথে গিয়েছিলাম হোটেল দেখতে।ছুটির দিন ব্যাতিত অন্যান্য দিনে হোটেল বুকিং দেওয়ার কোন দরকারই নাই।যে লোকটা আমাদের হোটেল দেখাতে নিয়ে গিয়েছিল ওইটাতেই আমরা উঠি,ওই হোটেলের মালিক উনি নিজেই।নাম 'হোটেল সী হার্ট' একদম বাজারের উপর। তারচেয়ে বড় কথা হল ওইখানে আমরা ডাবল বেডের রুমে ২ দিন ছিলাম মাত্র ১৩০০ টাকায়।লোকটার নাম মুজিব ভাই,অনেক হেল্পফুল লোক।কারো লাগলে আমার কাছথেকে নাম্বার নিতে পারেন।তবে সী ভিউ পাওয়ার জন্য পশ্চিম বিচে থাকতে হবে,ওইদিকে অনেক ভাল ভাল রিসোর্ট আছে।তো ওইখান থেকে সময় নষ্ট না করে তাড়াতাড়ি চলে গেলাম বিচে,সমুদ্রের স্বচ্ছ নীল পানিতে ঝাপাঝাপি করতে। প্রায় ২ ঘন্টা সমুদ্রে গোসল করার পর হোটেলে এসে ফ্রেশ হয়ে দুপুরের খাবার খেতে গেলাম।খাবার সময় অবশ্য দামাদামি করে খাবেন,প্যাকেজ হিসাবে। এখানে সবকিছুর দাম একটু বেশি বেশি।তো দুপুরের খাবার খেতে খেতে প্রায় বিকাল হয়ে গিয়েছিল খাবার শেষ করার পর ভেবেছিলাম সাইকেল নিয়ে বের হবো কিন্তু বিকালের টাইমে সাইকেলের চাহিদা বেশি থাকায় ওইদিন আর সাইকেল পায়নি বিচ থেকে সূর্যাস্ত দেখে হাটতে হাটতে পশ্চিম বিচের দিকে গেলাম।ততক্ষণে জোয়ারের পানি বেড়েই চলেছে।রাতের বেলা পশ্চিম দিকটা অনেক জমজমাট থাকে।নিচে সমুদ্রের গর্জন আর উপরের আকাশে লক্ষ লক্ষ তারা,এ সময়ে সমুদ্রের পাশদিয়ে হাটা! এক কথায় অসাধারন ফিলিংস এদিক থেকে রুপচাদা ফ্রাই ও কাকড়া ফ্রাই খেয়ে আবার পূর্বদিকে হাটা শুরু করলাম।যখন আসছিলাম তখন এদিকে পানি কম ছিল,আশেপাশে লোকজন ও ছিল।কিন্তু এখন জোয়ারের পানি বেড়ে অনেক উপরে উঠে গেছে,আশেপাশে লোকজন ও নাই।অনেক কষ্টে গেলাম,হালকা হালকা ভয় ও পেয়েছিলাম। তো ওখান থেকে এসে মেইন বিচের কাছে ফানুস উড়িয়ে আরো ২ ঘন্টা হাটাহাটি করে ওইদিনের মতো হোটেলে চলে গেলাম।পরদিনের প্লান ছিল হেটে ছেড়াদ্বীপ যাবো এজন্য ১১.৩০ এর দিকেই ঘুমিয়ে পড়লাম।
খরচ =জনপ্রতি ৯৫৫ টাকা।


তৃতীয় দিনঃ

যেহেতু হেটে ছেড়াদ্বীপ যাবো, এজন্য সকাল ৫.৩০ এর দিকে হোটেল থেকে বের হয়ে জেটির ঘাট থেকে পূর্বদিক থেকে হাটা শুরু করলাম।এখান থেকে সূর্যোদয় দেখে হালকা খাবার খেয়ে ছেড়াদ্বীপ এর দিকে হাটা শুরু করলাম।হেটে গেলে সাধারণ ২-২.৩০ ঘন্টা সময় লাগে।ভাটার সময় সাইকেলে করে ও ছেড়াদ্বীপ যাওয়া যাবে।বেশিরভাগ মানুষ ট্রলারে করে ছেড়াদ্বীপ যায়,ট্রলার ভাড়া ১৫০ টাকা।তবে ভাল হয়ে হেটে যেতে পারলে।হেটে গেলে অবশ্যই স্থানীয়দের থেকে জোয়ার ভাটার সময় জেনে যাবেন। প্রায় ৮ টার দিকে আমারা ছেড়াদ্বীপ এর কাছাকাছি পৌছে যাই।জোয়ারের পানি তখনো কিছুটা ছিল এজন্য আমরা ৩০ টাকা করে নৌকাতে পার হই।এখানকার পানিটা অনেকবেশি নীল আর স্বচ্ছ। সেন্ট মার্টিনের সবচেয়ে সুন্দর জায়গা বোধহয় ছেড়াদ্বীপ।এখানকার প্রবাল গুলা অনেকবেশি প্রানবন্ত। প্রায় ২ ঘন্টা মত ছেড়দ্বীপে ঘোরাঘুরির পর একটা করে ডাব খেয়ে পশ্চিমের দিক হাটা শুরু করলাম।হেটে সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ঘুরতে হলে(ছেড়াদ্বীপ সহ) আপনাকে ১৫/১৭ কি মি হাটতে হবে।পুরাটা দ্বীপ হেটে না ঘুরলে এর আসল সৌন্দর্য উপভোগ করা যাবেনা। পশ্চিমের দিক যতই হেটেছি ততই বিস্মিত হয়েছি।পশ্চিমের দিকে আসলেই বোঝা যায় কেন এ দ্বীপকে ন্যাচারাল কোরাল দ্বীপ বলে।বিশালাকার, ক্ষুদ্রাকার, অদ্ভুতাকার সব কোরাল। এগুলা দেখে হাটতে হাটতে চলে আসলাম হুমায়ুন আহমেদ স্যারের বাসার সামনে।একটা করে ডাব খেয়ে আবার হাটা শুরু করলাম।পশ্চিমদিক থেকে উত্তরের দিকে গেলেই বোঝা যাবে কেন এই দ্বীপের আরেক নাম নারিকেল জিঞ্জিরা। অবশেষে দীর্ঘ ৭ ঘন্টা(সকাল ৬ টা থেকে দুপুর ১ টা) হেটে আবার পূর্বের জায়গাতে চলে আসলাম।ততক্ষণে সবাই অনেক ক্লান্ত,তো এই ক্লান্তি দূর করার জন্য সমুদ্রে নেমে পড়লাম।সমুদ্র থেকে উঠে দুপুরের খাবার খেয়ে ৪০ টাকা ঘন্টায় সাইকেল নিয়ে বের হয়ে পড়লাম।আজ আর লেইট করিনি সাইকেল নিয়ে চলে গেলাম আবার পশ্চিমের দিকে,ওখান থেকে ডাব খেয়ে আবার এদিকে চলে এসেছি।রাতের বেলা বিচের পাশে বসে থেকেছি অনেক্ষন,গান গেয়েছি।সন্ধ্যায় কোরাল বার-বি-কিউ করতে দিয়েছিলাম রেস্টুরেন্ট এ,৯.৩০ এ ওইটা খেয়ে আবার বিচে চলে আসি।কিছুক্ষণ হাটাহাটি করে,ফানুস উড়িয়ে ওইদিনের মত হোটেলে এসে ঘুম দেই।
খরচ=জনপ্রতি ৬৬০ টাকা


চতুর্থ দিনঃ

আজ যেহেতু চলে জেতে হবে এজন্য খুব তাড়াতাড়ি ঘুমথেকে উঠি।সকাল সকাল সাইকেল ভাড়া করে ২ ঘন্টা মত সাইকেল চালিয়ে, একটা করে ডাব খেয়ে হোটেলে চলে আসি।ব্যাগ গুছিয়ে সকালের নাশতা করে ট্রলারের টিকিট কেটে ১০ টার দিকে ট্রলারে উঠে পড়ি।আসার দিনের তুলনায় আজ সমুদ্রে ঢেউ একটু বেশি ছিল।ট্রলারে উঠার পর শুনলাম যে ট্রলার শাহ পরীর দ্বীপে থামবে। শাহ পরীর দ্বীপ থেকে সিএনজি তে করে টেকনাফ যাওয়া যায়, ভাড়া ১০০ টাকা করে।শাহ পরীর দ্বীপে নেমে পড়লাম,ওখানে একটু ঘুরে সিএনজি নিয়ে চলে গেলাম টেকনাফ বার্মিজ মার্কেটে।এখানে দুপুরের খাবার খেয়ে বার্জিম মার্কেটে ঢুকলাম।কক্সবাজারের বার্মিজ মার্কেটের তুলনায় এখানকার বার্মিজ মার্কেটের জিনিসপত্রের দাম কম।কেনাকাটা শেষ করে অটোতে করে চলে আসলাম বাস টার্মিনাল। বাস টার্মিনাল থেকে সিএনজিতে উঠলাম মেরিন ড্রাইভ হয়ে কক্সবাজার যাবো, ভাড়া জনপ্রতি ২৫০ টাকা।সেন্ট মার্টিন আসলে এই অংশটুকু কেউ মিস করবেন না।বিকাল বেলা অসম্ভব রকম ভাল লাগে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে গেলে।একদিকে সমুদ্র, আরেকদিকে পাহাড়। আহা! সন্ধ্যা ৭ টার দিকে চলে আসলাম কক্সবাজার।ঢাকা ফেরার টিকিট কেটে আবার চলে গেলাম রাধুনি রেস্টুরেন্ট এ রাতের খাবার খেতে।রাতের খাবার খেয়ে বিচের ধারে একটু হেটে চলে গেলাম বাস কাউন্টারে।১০.১৫ তে বাস ছিল,মজার বিষয় হল নরমাল বাসের টিকিট কেটে এসি বাসে এসেছি ঢাকা থেকে রিজার্ভ বাস এসেছিল তো এজন্য নির্ধারিত সময় বাস ছেড়ে দেয়,বাসে উঠে এক ঘুম দিয়ে উঠে দেখি সকাল ৮ টা বাজে বাস ঢাকায় চলে এসেছে সময় থাকলে আরো একদিন থাকতাম সেন্ট মার্টিন।
খরচ= জনপ্রতি ১৭৭০

মোট খরচঃ ৮২০+৬৯০+৯৫৫+৬৬০+১৭৭০=৪৯০০(প্রায়)


সেন্ট মার্টিন থেকে কেউ সাথে করে প্রবাল আনবেন না। পানির বোতল,চিপস/খাবারের প্যাকেট সহ অপচনশীল জিনিসপত্র যেখানে সেখানে ফেলবেন না,নির্ধারিত স্থানে ফেলুন।একটা প্লাস্টিকের বোতল মাটিকে প্রায় ৪৫০ বছর দূষিত করে রাখে।সেন্ট মার্টিন আমাদের সম্পদ সুতরাং একে রক্ষা করা আমাদের সকলের দায়িত্ব।

Written Byতানভীর ফুয়াদ

#সেন্ট_মার্টিন #কক্সবাজার_ভ্রমন
  • Share
  • Tweet
  • Share

You Might Also Like...

ট্রলারে করে টেকনাফ টু সেন্ট মার্টিন

Leave a Reply

By posting comment you will be registered as a user. You can log in by this credential in the future.
Or, fill the comment and register with social network

0 Comments

  • Share
  • Tweet
  • Share

DURBEEN TRAVEL & TOURISM
  • Home
  • About
  • Contact
support@durbeentravel.com

Copyright © 2018 by Shunno-ek Technology. All Rights Reserved.
  • Log in

Sign In

Chose One of the Following Methods.

With Facebook
Or

Sign in Using Your Email Address

Forgot Password?
Don't have an account? Sign up Now