• Create A Story
  • Find A Story
  • My Story List
  • Join Our Trip
  • Create A Story
  • Find A Story
  • My Story List
  • Join Our Trip

ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক রাজধানী, ধান ও আমের ঝুড়ি এবং মিষ্টির জেলা 8

A Travel Guide
In
237 views

ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক রাজধানী, ধান ও আমের ঝুড়ি এবং মিষ্টির জেলা

নওগাঁ জেলার পর্যটন স্থানসমূহের তালিকা

22 Oct 2019, 05:10 pm
( 3086 words, Reading Time: 15.43 min)

নওগাঁ জেলার পর্যটন স্থানসমূহের তালিকা

১। কুসুম্বা মসজিদ

২। বলিহার রাজবাড়ী

৩। সোমপুর বৌদ্ধ বিহার

8। ভীমের পান্টি

৫। বৃহত্তম চুনাপাথর খনি

৬। হলুদ বিহার

৭। ছাতরা বিল

৮। হাসাইগাড়ী বিল

৯। পাখিকুঞ্জ

১০। আলতা দিঘী, সাঁওতাল বসতি এবং মাহি সন্তোষ

১১। ভীমের স্তম্ভ

১২। পতিসর রবীন্দ্র কুঠি

১৩। গান্ধী আশ্রম

১৪। জগদল বিহারা

১৫। নজিপুরের কাঞ্চন দীঘি ও মাজার এবং শিমুলতলী সীমান্ত সেতু ও কৃত্রিম বনাঞ্চল

১৬। দিবর দীঘি

১৭। জবই বিল এবং পাতাড়ী সীমান্ত

১৮। প্রাচীন পাঠাগার

১৯। অগ্রপূরী বিহার

২০। মুসাফির খানা ও ২য় বৃহত্তম মাদ্রাসা

২১। নিয়ামতপুরের দৃষ্টিনন্দন সড়ক

২২। আব্দুল জলিল শিশুপার্ক

২৩। বৃহত্তম মাটির বাড়ি

২৪। দুবলহাটি বিলুপ্তপ্রায় রাজবাড়ী

২৫। সাবেক গাজা প্রক্রিয়া করন কম্পাউন্ড

২৬। শাহ কৃষি তথ্য পাঠাগার ও যাদুঘর।


উপরে উল্লেখিত পর্যটন স্থানসমূহ ছাড়াও নওগাঁ জেলাতে আরও কিছু প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা রয়েছেঃ

প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান সমূহের নাম,পরিচিতি,অবস্থান ও ভ্রমণ---


(১)নওগাঁ সদরঃ
খ. শৈলগাছী জমিদার বাড়ীঃ

অবস্থানঃ বর্তমানে বিলুপ্তপ্রায়
রাজবাড়ী টি নওগাঁ সদর হতে ৬ কিমি:দূরে অবস্থিত।
গ. প্যারিমোহন সাধারণ লাইব্রেরীঃ

অবস্থানঃ শহরের কেডি স্কুলের পাশে অবস্থিত।


(২) মান্দা থানাঃ

গ. পান্ডবের বেড় ও ঘ. রঘুনাথ মন্দির, (ঠাকুর মান্দা)

(গ) তারা মন্দির(পাহাড়পুর) (ঘ) পুকুরের মাঝে ঢিবি - ফতেপুর ( সাতাইল)


(৪) ধামুইরহাট থানাঃ
(গ) ভীমের স্তম্ভঃ অবস্থান ধামুইরহাট থেকে জয়পুরহাটের পথে ১০ কিমি: গেলে মঙ্গলবাড়ি বাজার। এরপর ২ কিমি: দূরে মুকুন্দপুর গ্রামে অবস্থিত এই স্তম্ভ ।

(৫)পত্নীতলা থানাঃ

খ. যোগীর ঘোপা (মাকবারা,জাবরপুর)


(৬) নিয়ামতপুর থানাঃ
(ক) কালাপাহাড়ের ভিটে - বীরযোয়ান
(খ) একই স্থানে মসজিদ, মন্দির ও তাজিয়া,(ধরমপুর, ভাবিচা)


৭. আত্রাই থানাঃ
(ক) প্রাচীন বান্দাইখাড়া মুন্সেফ কোর্ট,,
(খ) নন্দনালী থানা ভবন ( শতবর্ষ পূর্বের ),,
(গ) ইসলামপুর জামে মসজিদ ( আনুমানিক তিনশত বছর পূর্বের ), (বিশা ইউ, পি),,
(ঘ) তিন গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ(মনিয়ারী ইউ, পি)


(৯) রাণীনগরঃ এখানে কাশিম পুর রাজবাড়ী ছাড়াও রাণীনগর উপজেলার একডালা ইউনিয়নের রাজাপুর ও কালীগ্রাম গ্রামে প্রাচীন কিছু স্থাপনার নিদর্শন পাওয়া যায়। রাজাপুর গ্রামে একটি উঁচু ঢিবি রয়েছে, কথিত আছে উক্ত ঢিবি একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত রাজবাড়ী। একডালা গ্রামেও একটি মধ্যযুগীয় মসজিদ, কিছুকাল পূর্বেও যা আলপনাখচিত ছিল, কিন্তু সংরক্ষণের অভাবে তা আজ ধ্বংসপ্রাপ্ত।এছাড়াও কাশিমপুর গ্রামে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে বেশ কয়েটা রাজবাড়ীর ধ্বংসাবশেষ।


(১০) মহাদেবপুরঃ
(ক) ভীমসাগরঃ মহাদেবপুর উপজেলা সদর হতে প্রায় ৫ কিঃ মিঃ পূর্বে এবং নওগাঁ-মহাদেবপুর রোড সংলগ্ন শিবরামপুর মোড় হতে মাত্র ৫০০ গজ উত্তরে ভীমসাগর অবস্থিত। এর পাশে বকাপুর গ্রাম। ভীমপুর সাগর পূর্ব-পশ্চিমে দীর্ঘ ও উত্তর-দক্ষিণে চওড়া। পাড় ও জলাশয়ের আয়তন ৬৪ বিঘা। এ ভীমসাগরের ধার ঘিসে এককালের বিখ্যাত ভীমের জাঙ্গাল তৈরি করা হয়।

(খ) জমিদার বাড়ীঃ অবস্থানঃ সম্রাট জাহাঙ্গীরের সময়ে মহাদেবুর উপজেলায় সম্রাটের সৈনিকদের একটি দূর্গ ছিল এবং এই এলাকাতেই বাড়ী এমন কতিপয় ব্যক্তি এ সৈন্যবাহিনীর সদস্যও ছিলেন।

আরও কিছু প্রাচীন স্থাপনা---

(গ) তাজিয়া কাছাড়
(ঘ) আদ্দাবাড়ী মন্দির


(১১) পোরশা থানাঃ
(খ) বেনীদুয়ার গির্জাঃ সরাইগাছী হতে আড্ডার পথে যাওয়ার সময় কুশার পাড়ার মোড় পাওয়া যাবে, এরপর সামান্য এগিয়ে গেলেই প্যাগোডা টির অবস্থান।

(গ) শিব মন্দিরঃ নীতপুরের গোপালপুর গ্রামে অবস্থিত প্রাচীন মন্দির।


উপরিল্লিখিত প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা সমূহ ব্যাতীত আরও কিছু

প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা রয়েছে যেগুলো কালের আবর্তে বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে..!

এগুলো হচ্ছে--
চকবাড়া রাজবাড়ীঃ অবস্থান-- নওগাঁ শহর থেকে বালুডাঙগার পথে (২কিমি:)

কোমাইগাড়ী তিন গম্বুজ মসজিদঃ নওগাঁ সরকারি কলেজ হতে সামান্য দূরেই কোমাইগাড়ীতে একসময় মসজিদ টির অবস্থান ছিল!

খট্রেশ্বর রাজবাড়ীঃ রানীনগর হতে সামান্য দূরে এই রাজবাড়ীর অবস্থান ছিল!


বিখ্যাত খাবার সমূহ

(১)প্রসিদ্ধ সাব্বির বিরিয়ানী,
(২) Fat belly kitchen এর হায়দ্রাবাদী বিরিয়ানী, চিকেন ফ্রাই ও লাচ্ছি,
(৩) গুল ই শাহ সুইটসের মিস্টান্ন(নওগাঁ সদর)
(৪) ফকিরের সুস্বাদু গুড়ের সন্দেশ( ফেরিঘাট)
(৫) দেশ সেরা কালিতলার প্যারা সন্দেশ,
(৬) বদলগাছীর সুস্বাদু স্পঞ্জের মিস্টি, জাবারীপুর বাজার(মথুরাপুর)
(৭) মাতাজী ও নজিপুরের বিখ্যাত স্পঞ্জের মিষ্টি ও রসমালাই,
(৮) মহাদেবপুরের মনোহর সন্দেশ,আতব চাল,ক্ষীর ও কালাইয়ের রুটি,
(৯) বালুভরা ও ছাতিন গ্রামের সুস্বাদু দই,
(১০) ৩৫ বছরের ঐতিহ্যবাহী মালেকের 'চপ'
(১১) লিটন চা ষ্টলের ৭৫ বছরের ঐতিহ্যবাহী 'পুরী'
(১২) বসন্ত হোটেলের রসালো জিলাপী
(১৩) তাজের মোড়ের মজাদার বুট ভাজা,
(১৪) মুক্তির মোড়ের কাবাব এবং দুধ চা,
(১৫) বদলগাছীর বিখ্যাত নাক ফজলী আম এবং
পোরশার বিখ্যাত আম...


ঢাকা হতে নওগাঁ ভ্রমন

ঢাকার কমলাপুর-বিমানবন্দর স্টেশন হতে কয়েকটি
আরামদায়ক ট্রেন সেবা রয়েছে,( রংপুর এক্সপ্রেস, দ্রুত যান, নীলসাগর, একতা) ইত্যাদি..। কোন সমস্যা না হলে ৬ ঘন্টায় সান্তাহার পৌছানো যাবে, এরপর রিক্স/টমটম/সিএনজি তে ১০ মিনিটেই নওগাঁ শহর...।

ভ্রমন নির্দেশনাঃ

ঢাকার কমলাপুর-বিমানবন্দর স্টেশন হতে কয়েকটি ট্রেন সেবা রয়েছে,( রংপুর এক্সপ্রেস, দ্রুত যান, নীলসাগর, একতা) ইত্যাদি..। কোন সমস্যা না হলে ৬ ঘন্টায় সান্তাহার পৌছানো যাবে, এরপর রিক্স/টমটম/সিএনজি তে ১০ মিনিটেই নওগাঁ শহর...।

রেলপথঃ ঢাকা > সান্তাহারঃ-- নীলসাগর- সকাল ৮ টা
একতা - সকাল ১০ টা
রংপুর - সকাল ৯ টা
দ্রুতযান- রাত ৮ টা
লালমনি- রাত ১০:১০


সান্তাহার > ঢাকাঃ দ্রুতযান সকাল ১২টা,
লালমনি দুপুর ২ টায়,
রংপুর রাত ১২টায়,
নীলসাগর রাত ১২টা ৩০মি,
একতা রাত ১টায়।
সময় কিছুটা কম/বেশি হতে পারে।


সড়কপথঃ
কল্যাণপুর ও মহাখালী বাস কাউন্টার হতে সকাল হতে রাত ১১ টা পর্যন্ত নওগাঁ অভিমূখে বেশ কয়েকটি ভালো মানের বাস চলাচল করে..। এস আর(ভলভো-নন এসি), শ্যামলী(এসি-নন এসি), শাহ ফতেহ আলী, টি আর, ডিপজল(এসি-নন এসি) ইত্যাদি..।
যানজট না হলে সময় লাগবে ৬-৭ ঘন্টা..!

নওগাঁ জেলা ভ্রমন নির্দেশনাঃ

নওগাঁ শহর থেকে একটি ভালো মানের মাইক্রোবাস সারা দিনের জন্য রিজার্ভ করলে সকাল হতে সন্ধ্যা র মধ্যে বড় ৪-৫ টি পর্যটন স্থান ভ্রমন করা সম্ভব ইনশাআল্লাহ...। তবে দুদিন সময় থাকলে সবগুলো স্থান ভ্রমন ও মজাদার সব খাবারের স্বাদ পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ..। এক্ষেত্রে গাড়ি ভাড়া মোটামুটি ৫০০০-১০০০০( দুই দিন)
টাকার মধ্যে থাকবে।।।।

রাত্রিযাপন ব্যবস্থা-

নওগাঁ শহরে প্রবেশ মুখে তিন তারকা আবাসিক হোটেল(মল্লিকা ইন) সহ শহরে বেশ কিছু ভালো মান সম্পন্ন খাবার ও রাত্রি যাপনের হোটেল রয়েছে..। ( যমুনা, অবকাশ, ফারিয়াল, আরিফ) ইত্যাদি..। নওগাঁ ভ্রমন সংক্রান্ত যে কোন প্রয়োজনে (০১৭৩১৮৩৮৫৮৭) নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন।


সবাইকে সুস্বাগতম

নওগাঁ জেলা ভ্রমন নকশা

(১) কুসুম্বা মসজিদঃ ব্যাসল্টের বিস্ময়!

অবস্থান ও ইতিহাসঃ নওগাঁ - রাজশাহী সড়কের মান্দা থানার কুসুম্বা গ্রামে অবস্থিত ব্যাসলট পাথরে নির্মিত অসাধারন একটি মসজিদ। কুসুম্বা দিঘির পশ্চিম পাড়ে, পাথরের তৈরি ধুসর বর্ণের মসজিদটি অবস্থিত। মসজিদের প্রবেশদ্বারে বসানো ফলকে মসজিদের নির্মাণকাল লেখা রয়েছে হিজরি ৯৬৬ সাল (১৫৫৪-১৫৬০ খ্রিষ্টাব্দ)। আফগানী শাসনামলের শুর বংশে শেষদিকের শাসক গিয়াসউদ্দিন বাহাদুর শাহের আমলে সুলায়মান নামে একজন এই মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন।

ভ্রমণ নির্দেশনাঃ নওগাঁ শহরের বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড হতে ৩৬ কিমি: এবং কুসুম্বা মোড় হতে ২ কিমি: দূরত্বে মসজিদ টি অবস্থিত।রাজশাহী গামী বাসে মান্দার কুসুম্বা মোড়ে নেমে যে কোন ছোট বাহন অথবা প্রাইভেট বাহন যেমন কার - মাইক্রো বাস অথবা বাইক নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন।

(২) বলিহার রাজবাড়ীঃ

অবস্থান ও ইতিহাসঃ নওগাঁ জেলা শহর থেকে ১৮ কিলোমিটার পশ্চিমে মুড়মইল মৌজায় বলিহার রাজবাড়ি অবস্থিত। কথিত আছে যে, সম্রাট আওরঙ্গজেবের সনদ বলে বলিহারের এক জমিদার জায়গীর লাভ করেন। বলিহারের জমিদারদের মধ্যে অনেকেই উচ্চ শিক্ষিত ছিলেন। রাজা কৃষ্ণেন্দ্রনাথ রায় একজন লেখক ছিলেন। বলিহারের নয় চাকার রথ প্রসিদ্ধ ছিল। বলিহারের জমিদার রাজেন্দ্র ১৮২৩ খিস্টাব্দে লোকান্তরিত হবার পূর্বে এখানকার বিখ্যাত দূর্গামন্দিরে রাজরাজেশ্বরী দেবীর অপরূপা পিতলের মুর্তি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। মন্দির ভবনের ভিতরে অনেক কক্ষ। এই কক্ষগুলি এক একটি মন্দির ছিলো বলে জানা যায়।

ভ্রমণ নির্দেশনাঃ নওগাঁ শহরের বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড থেকে রাজশাহীগামী বাসে বলিহার ( বাবলাতলার মোড়) এ নামতে হবে। এখান থেকে বলিহার কলেজ, একটু উত্তরে গেলে রাজবাড়ি। এছাড়া প্রাইভেট বাহন কিংবা বাইক নিয়ে সহজেই ঘুরে আসা যায়।

(৩) পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারঃ

অবস্থান ও ইতিহাসঃ বাংলাদেশের বৃহত্তর রাজশাহীর অন্তর্গত নওগাঁ জেলার বদলগাছি উপজেলার পাহাড়পুর গ্রামে অবস্থিত। এর ভৌগোলিক অবস্থান আসল নাম সোমপুর বিহারা।পাহাড়পুরকে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বৌদ্ধবিহার বলা যেতে পারে। আয়তনে এর সাথে ভারতের নালন্দা মহাবিহারের তুলনা হতে পারে। এটি ৩০০ বছর ধরে বৌদ্ধদের অতি বিখ্যাত ধর্ম শিক্ষাদান কেন্দ্র ছিল। শুধু উপমহাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকেই শুধু নয়, চীন, তিব্বত, মায়ানমার (তদানীন্তন ব্রহ্মদেশ), মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া প্রভৃতি দেশের বৌদ্ধরা এখানে ধর্মজ্ঞান অর্জন করতে আসতেন। খ্রিস্টীয় দশম শতকে বিহারের আচার্য ছিলে অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান।

১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দে ইউনেস্কো এটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের স্বীকৃতি প্রদান করে।

ভ্রমণ নির্দেশনাঃ নওগাঁ শহর হতে বদলগাছী হয়ে সড়ক পথে ২৮ কিমি: অপরদিকে জয়পুরহাট জেলার জামালগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে এর দূরত্ব পশ্চিমদিকে মাত্র ৫ কিলোমিটার। জয়পুরহাট শহর হতে ১১ কিমি:। প্রাইভেট বাহন যেমন কার - মাইক্রো বাস অথবা বাইক নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন।

(৪) ভীমের পান্টিঃ ১২০০ বছর পূর্বের পাল আমলের স্তম্ভ।

ভ্রমণ নির্দেশনাঃ ধামুইরহাট থেকে জয়পুরহাটের পথে ১০ কিমি: গেলে মংগল বাড়ি বাজার, এরপর ভ্যানে কিংবা হেটে ই যাওয়া যায়।

(৫) বৃহত্তম চুনাপাথরের খনিঃ বদলগাছির তাজপুরে আবিষ্কৃত হয়েছে বাংলাদেশের বৃহত্তম চুনাপাথরের খনি। এই স্থান টি নওগাঁ জেলার সীমান্তবর্তী তাজপুর গ্রামে অবস্থিত। এটির খনন কাজ এখনও শুরু হয়নি।নওগাঁ শহর হতে দূরত্ব মোট ২৮ কিমি:...।

(৬) হলুদ বিহারঃ হলুদ বিহার বাংলাদেশ প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদফতর স্বীকৃত একটি উল্লেখযোগ্য ঐতিহাসিক স্থান। অবস্থান ঐতিহাসিক সোমপুর বিহার হতে প্রায় ১১-১২ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং মহাস্থানগড় হতে ৫০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে নওগাঁর বদলগাছী উপজেলাধীন বিলাশবাড়ী ইউনিয়নের দ্বীপগঞ্জ গ্রামে। বর্ষাকালে হলুদ বিহার ঢিবিটি দ্বীপের ন্যায় দেখাত, যার ফলশ্রুতিতে এটি দ্বীপগঞ্জ নামে পরিচিত। দ্বীপগঞ্জ গ্রামের হাটের পাশে স্তূপকৃত মাটির ঢিবি সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে। এ ঢিবির পরিধি প্রায় ১০০ ফুট এবং সমতল ভূমি থেকে এর উচ্চতা প্রায় ২৫ ফুট। প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অনুসন্ধানে এটি একটি বৌদ্ধ বিহার বলে ধারণা পাওয়া যায়। কিছু কিছু ঐতিহাসিকরা এটিকে পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের সম-সাময়িক বলেই মনে করেন। তবে এর নির্মাণে শুধু সিঁড়ির ইটের সঙ্গে পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের কেন্দ্রীয় মন্দিরের পশ্চিম পাশের ইটের মিল পাওয়া যায়। হলুদ বিহারের একটি প্রাচীন পথ কোলা অতিক্রম করে পাহাড়পুর, আরেকটি পথ জগদল মহাবিহারের অগ্রসরমান।

অবস্থানঃ অবস্থান ঐতিহাসিক সোমপুর বিহার হতে প্রায় ১১-১২ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং মহাস্থানগড় হতে ৫০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে নওগাঁর বদলগাছী উপজেলাধীন বিলাশবাড়ী ইউনিয়নের দ্বীপগঞ্জ গ্রামে।

ভ্রমণ নির্দেশনাঃ নওগাঁ শহর হতে বদলগাছীর কোলা হাঁটের পাশেই অবস্থিত এই বিহার। দূরত্ব ২২ কিমি:...।

(৭) ছাতড়া বিলঃ মহাদেবপুর হতে ১৫ কিমি: দূরে রয়েছে ধাপ জমি যুক্ত ছাতড়া বিল। বর্ষা মৌসুমে এর আসল সৌন্দর্য্য উপভোগ করা যায়।

(৮) হাসাইগাড়ী বিলঃ নওগাঁ শহর হতে ৮ কিমি দূরে গোয়ালী ইউনিয়নে অবস্থিত "নওগাঁর সাগর" নামে খ্যাত এই বিল। বর্ষা মৌসুমের পুরোটা সময় এখানে দারুন সময় উপভোগ করা যায়।

(৯) পাখিকুঞ্জঃ নওগাঁ শহর হতে মহাদেবপুর দূরত্ব ২৪ কিমি: , মহাদেবপুর মাছ চত্বর হতে ৮ কিমি: দূরে হাসানপুর গ্রামে পাখির এই অভয়ারন্য অবস্থিত। এছাড়া রয়েছে জোয়ানপুর পাখিকুঞ্জ।

(১০) আলতা দীঘিঃ দীঘি-শালবন-আাদিবাসী-সীমান্তসমৃদ্ধ
দারুন পর্যটন গন্তব্য..."

অবস্থান ও ইতিহাসঃ নওগাঁ জেলার ধামুইরহাট উপজেলার অন্তর্গত শালবনের মাঝে এই ঐতিহাসিক আলতা দীঘি অবস্থিত।
উত্তরে গভীর শালবনে প্রায় ১ কিলোমিটার লম্বা ও অর্ধ কিলোমিটার চওড়া এই আলতা দীঘি। এই আলতা দীঘির সম্পর্কে প্রবাদ আছে, তৎকালীন সময় অত্র এলাকায় প্রবল খরার কারণে প্রজা সাধারণ পানি ও পানীয জলের কষ্ট লাঘবের জন্য জগদ্দল রাজ মাতার কাছে অভিযোগ করেন। প্রজা দরদী রাজমাতা তাদের পানীয় জলের কষ্ট দূর করতে পুত্রের কাছে তার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন এবং পুত্রের কাছে দাবি করে বলেন, বাবা আমি সকালে ঘুম থেকে উঠে যতদূর পর্যন্ত হেঁটে যেতে পারবো ততখানি লম্বা একটি দীঘি খনন করে দিতে হবে। কঠিন হলেও পুত্র তার প্রাণপ্রিয় জননীর দাবি মেনে নিলেন এবং দীঘি খনন করতে রাজি হলেন। এইভাবে দীঘিটির উৎপত্তি ঘটেছে। এই আলতা দীঘির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার মতো।

আলতাদীঘির অলংকারঃ দীঘির একপাশে ভারতীয় সীমান্তের জিরো পয়েন্ট! সতর্ক হয়ে চলাচল জরুরী! আলতা দীঘির চতুর্দিকে ঘন শাল-বেত বন রয়েছে। বনের ভেতরে ও এর পাশের এলাকায় সীমিত সংখ্যক আদিবাসী সাওতাঁল গোত্র বাস করে। বিরল উইপোকার টিবির দেখা মেলে এখানে! দীঘির উভয় পাশে ছোট জলাশয় ও রয়েছে। আলতাদীঘি যাবার সামান্য পূর্বে ডানদিকের পথে তিন কিমি: দূরেই রয়েছে জগদল বিহার।

ভ্রমণ নির্দেশনাঃ নওগাঁ শহর হতে মহাদেবপুর> নজিপুর হয়ে ধামুইরহাট ৪৯ কিমি: দূরে অবস্থিত। ধামুইরহাট উপজেলা শহর থেকে ৬ কিমি: দূরে অবস্থিত এই দীঘি। নওগাঁর বালুডাংগা বাস
টার্মিনাল হতে ধামুইরহাট বাস সেবা রয়েছে। এছাড়া প্রাইভেট বাহন যেমন কার - মাইক্রো বাস অথবা বাইক নিয়ে ঘুরে আসা যায়।
জয়পুরহাট শহর হতে আলতাদীঘির দুরত্ব ২৩ কিমি:...। বাস, লেগুনা, টমটম বাহনে সহজেই আলতা দীঘি আসা যায়।

(১১) ভীমের স্তম্ভঃ ১২০০ বছর পূর্বের পাল আমলের স্তম্ভ।আসলে এটি গড়ুর স্তম্ভ। একখণ্ড পাথরের স্তম্ভে শিলালেখ রয়েছে। এর শীর্ষদেশে একটি গড়ুর মূর্তি ছিল। বজ্রপাতে মূর্তিসহ ওপরের অংশটি ভেঙে গেছে।

ভ্রমণঃ ধামুইরহাট থেকে জয়পুরহাটের পথে ১০ কিমি: গেলে মঙ্গলবাড়ি বাজার। এরপর ২ কিমি: দূরে মুকুন্দপুর গ্রামে অবস্থিত এই স্তম্ভ । টমটম অথবা ভ্যানে যাওয়া যায়।

(১২) পতিসরঃ

অবস্থান ও ইতিহাসঃ পতিসর রবীন্দ্রস্মৃতি-বিজড়িত উত্তর বঙ্গের নওগাঁ জেলার অন্তর্গত আত্রাই উপজেলাধীন একটি গ্রাম। জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারের জমিদারির কালিগ্রাম পরগনার সদর কাচারি ছিল এই পতিসরে। রবীন্দ্রনাথের পিতামহ দ্বারকানাথ ঠাকুর ১৮৩০ সালে এ জমিদারি ক্রয় করেন। রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং জমিদারি দেখাশোনার জন্য ১৮৯১ সালের জানুয়ারিতে প্রথম পতিসরে আসেন।

ভ্রমণ নির্দেশনাঃ জেলা শহর থেকে ২৬ কিলোমিটার এবং আত্রাই রেলস্টেশন থেকে ১২ কিলোমিটার দক্ষিণপূর্ব দিকে নাগর নদীর তীরে গ্রামটি অবস্থিত।

(১৩) গান্ধী আশ্রমঃ
আত্রাই রেলষ্টেশন হতে ১ কিমি দূরেই অবস্থিত ভারতের জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতিধন্য এই আশ্রম।

(১৪) জগদল বৌদ্ধবিহারঃ

অবস্থান ও ইতিহাসঃ নওগাঁ জেলার ৬৫ কিলোমিটার দূরে সীমান্তবর্তী উপজেলা ধামইরহাট। উপজেলা সদর থেকে ৭ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব কোণে জগদল মৌজায় মাঠের মাঝখানে অবস্থিত স্থাপনাটির নাম জগদল বিহার।

প্রত্মতত্ত্ব অধিদফতরের তত্ত্বাবধানে ২০১২ সালের ১ ডিসেম্বর ৪০ জন শ্রমিক এর খনন কাজ শুরু করে। এর ফলে সেই বিহারের মাটির ঢিবির নিচ থেকে বেরিয়ে আসছে একের পর এক প্রাচীন সভ্যতার ঐতিহাসিক নিদর্শন। ইতিমধ্যে পাওয়া গেছে বুদ্ধমূর্তি, বিভিন্ন প্রাচীন মূর্তি ও বিশাল আকারের প্রাচীন কালো পাথর, গ্রানাইট পাথরের নির্মিত ১৬ ফুট স্তম্ভ। লিনটনে অলঙ্কৃত বুদ্ধমূর্তি। পাওয়া গেছে বিভিন্ন ধরনের মৃৎ পাত্রের ভগ্নাংশ। জানা গেছে, একাদশ খ্রিস্টাব্দের শেষ দিকে এই জনপদে বসবাস করতেন কিছু প্রভাবশালী হিন্দু জমিদার। রামপালের গৌড় রাজা বিহারটি অন্য এক রাজার কাছ থেকে পুনরুদ্ধার করে রামাবতী নগর নামে রাজধানী স্থাপন করেন। এই রাজধানীর উপকণ্ঠে জগদল বিহারটি স্থাপন করেন। কালের পরিক্রমায় বিহারটি ধ্বংস হয়ে যায়।

ভ্রমণ নির্দেশনাঃ নওগা শহর হতে ৬৫ কিমি: এবং ধামুইরহাট হতে ৭ কিমি: দূরে অবস্থিত এই বিহার। প্রাইভেট বাহন যেমন কার - মাইক্রো বাস অথবা বাইক নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন।

(১৫) বিল ও সংরক্ষিত বনাঞ্চলঃ

অবস্থান ও ইতিহাসঃ ঘুখসি নামক বিলের দু'পাশে এই গ্রামীণ বনের অবস্থান।এই ঘুখসির বিলের মোট আয়তন প্রায় ৩শ ৬৫ বিঘা। এ বিলে বর্ষা মৌসুমে জেলেদের মাছ ধরার ধূম পড়ে যায়। আর প্রকৃতি প্রেমীদের আগমন ঘটে। বিলে ছোট ও মাঝারী ডিঙ্গি নৌকায় অনেকেই ঘুরে থাকেন। এখানে রয়েছে সীমান্তবর্তী শিমুলতলী সেতু। নওগাঁ জেলার অন্যতম পর্যটন স্থান এই বিল-বনভূমি।

ভ্রমণ নির্দেশনাঃ নওগাঁ শহর হতে নজিপুর সদরের দূরত্ব ৩৮কিমি:,, নজিপুর শহর হতে ১৬ কিমি দূরে এই বিলের অবস্থান।
নওগাঁর বৃহত্তম বনভূমি সমৃদ্ধ এই বিলে ভ্রমনের উপযুক্ত সময় বর্ষা মৌসুম। এছাড়া প্রাইভেট কার - মাইক্রো বাস অথবা বাইক নিয়ে এই স্থান ঘুরে আসতে পারেন।

(১৬) দিবর দীঘিঃ

অবস্থান ও ইতিহাসঃ দিবর স্তম্ভ বা দিব্যক জয়স্তম্ভ বাংলাদেশের নওগাঁ জেলার পত্নীতলা থানার দিবর দীঘির মধ্যস্থলে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক নিদর্শন। এ দীঘি স্থানীয় জনগনের কাছে কর্মকারের জলাশয় নামে পরিচিত। দীঘিটি ৪০/৫০ বিঘা বা ১/২ বর্গ মাইল জমির উপর অবস্থিত। দিবর দীঘির মধ্যস্থলে অবস্থিত আটকোণ বিশিষ্ট গ্রানাইট পাথরের এতবড় স্তম্ভ বাংলাদেশে বিরল। এ স্তম্ভের সর্বমোট উচ্চতা ৩১ ফুট ৮ ইঞ্চি। পানির নীচের অংশ ৬ ফুট ৩ ইঞ্চি এবং পানির উপরের অংশ (পরিদর্শন কালে জরিপের সময়) ২৫ ফুট ৫ ইঞ্চি। এ স্তম্ভে কোন লিপি নেই। স্তম্ভের উপরিভাগ খাঁজ কাটা অলঙ্করণ দ্বারা সুশোভিত।

ভ্রমণ নির্দেশনাঃ নওগাঁ শহরের বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড হতে ৫৭ কিমি: দূরে সাপাহার শহরের প্রবেশ মূখে ডানে মোড় নিয়ে ২ কিমি: দূরত্বে অবস্থিত। প্রাইভেট বাহন যেমন কার - মাইক্রো বাস অথবা বাইক নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন।

(১৭) জবই বিলঃ

অবস্থান ও ইতিহাসঃ ১৯৯৮ সালে তৎকালীন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সাপাহার আশ্রয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করার সময় এ উপজেলা হতদরিদ্র মৎসজীবীদের দু:খ দুর্দশা লাঘবের জন্য‍ “ জবই বিল মৎস্য চাষ উন্নয়ন প্রকল্প” গ্রহনের

কেন্দ্র করে এখান কার অনেক মানুষ জিবিকা নির্বাহ করে থাকে। এ জবই বিলে বিভিন্ন প্রভৃতির মাছ সংগ্রহ করে থাকে এখানকার জেলে সম্প্রদায়। বর্ষা মৌসুমে এ বিলের পানি কানায় কানায় ভরে ওঠে। নৌকা আর জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য দেখে চোখ জুড়ায় ভ্রমন পিপাসু মানুষদের। আর খরা মৌসুমে এ বিলের পানি শুকিয়ে গেলে কৃষকরা বিভিন্ন ফসল বোনায় ব্যস্ত হয়ে ওঠে

ভ্রমণ নির্দেশনাঃ নওগাঁ হতে সাপাহার ৫৫ কিমি: পথ। সাপাহার উপজেলার জিরো পয়েন্ট হতে বাস/অটোরিক্সা/ ভাড়ায় চালিত মটর সাইকেলে সহজেই জবই বিল যাওয়া যায়। দূরত্ব মাত্র ১০ কিঃমিঃ। প্রাইভেট বাহন যেমন কার - মাইক্রো বাস অথবা বাইক নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন।

(১৮) প্রাচীন পাঠাগারঃ নওগাঁ জেলার বদলগাছী থানাতে রয়েছে ১০৪ বছরের পুরাতন গ্রন্থাগার। বালুভরার আর বি উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বিভিন্নধরনের ৪০০০ হাজার বইয়ের অসাধারণ এক শিক্ষা সম্ভার। পাঠাগারটি নওগাঁ শহর হতে ১৬ কিমি: দুরত্বে অবস্থিত।

(১৯) আগ্রাদিগুনের বিলুপ্তপ্রায় পুরাকীর্তিঃ বরেন্দ্রভূমির বুকে আগ্রাদিগুন বেশ বড় এক টিলা। নানা জায়গায় ইটের টুকরা ছড়ানো।।টিলার উপর বড় বড় শিমুল-পলাশ গাছ।

হাজার বছর আগের পালযুগের স্থাপনা এর ভেতর লুকিয়ে আছে নিশ্চিত তবু আগ্রাদিগুনে খনন কাজ থেমে আছে অনেক বছর। এ ব্যাপারে নানা কাহিনী শুনে আসলাম এলাকাবাসীর মুখে। যত বিশাল টিলা এবং যত ভগ্নাংশ বেরিয়ে আছে বিশাল প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা আছে সে বিষয়ে সন্দেহ নাই কিন্তু খনন কাজই হচ্ছেনা কারণ যেই টিম আসে তারাই নাকি পালিয়ে যায় দুইদিন পর!!

ভ্রমন নির্দেশনাঃ আগ্রাদিগুন নওগাঁ সদর হতে ৬১ কিমি: দূরত্বে অবস্থিত। এবং সাপাহার শহর হতে ২২ কিমি:...। লোকাল বাস, রিজার্ভ গাড়ি অথবা বাইক নিয়েও ঘুরে আসতে পারেন।

(২০) বৃহত্তম মাদ্রাসা ও মুসাফির খানাঃ

অবস্থান ও ইতিহাসঃ নওগাঁ জেলার সীমান্তবর্তী থানা পোরশার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত মুসাফির খান বিনামূল্যে এখানে যে কেউ আবাসন ও খাবারেরর সেবা গ্রহন করতে পারে। মুসাফির খানা থেকে সামান্য দূরেই অবস্থিত উত্তরবঙ্গের বৃহত্তম ও দেশের ২য় বৃহত্তম মাদ্রাসা। এছাড়া রয়েছে নীতপুর সীমান্ত, উচু-নীচু ধাপ জমি, ইত্যাদি।

তবে সবচেয়ে আকর্ষনীয় হচ্ছে এ অঞ্চলের বিখ্যাত আমের বাগান।। এই আম বিদেশে রপ্তানি হয়।

ভ্রমন নির্দেশনাঃ নওগাঁ শহর হতে পোরশার দূরত্ব ৮৫ কিমি:,,প্রাইভেট বাহন যেমন কার - মাইক্রো বাস অথবা বাইক নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন।

(২১) বাংলাদেশের সুন্দরতম গ্রামীণ পথ.!

বর্তমান মাননীয় খাদ্যমন্ত্রী নওগাঁ জেলার প্রবীণ রাজনীতিবিদ বাবু সাধন চন্দ্র মজুমদার(তৎকালীন চেয়ারম্যান) এবং তৎকালীন ইউপি মেম্বার মরহুম আব্দুস সাত্তারের উদ্যোগে ১৯৮২ সালে নিয়ামতপুর থানার হাজীনগর ইউনিয়নের মজুমদার মোড় হতে ঘুঘুডাংগা সড়কে এই তালগাছ গুলো রোপণ করা হয়। নান্দনিক এই বৃক্ষ রোপন কার্যক্রমে সহায়তা করেন স্থানীয় গ্রামবাসী।

ভ্রমন নির্দেশনাঃ শহরের বালুডাংগা বাসস্ট্যান্ড হতে মান্দা গামী বাসযোগে মান্দা মোড়ে নামতে হবে,
এরপর টমটম, সিএনজি রিজার্ভ করে নিয়ামতপুর হয়ে ঘুঘুডাংগা গ্রামে আসতে হবে, এ পথেই রয়েছে দৃষ্টিনন্দন এই তালগাছের সারি...!
টমটম/সিএনজি রিজার্ভ ভাড়া ৭০০/৮০০ টাকা।

১ম রুটঃ
নওগাঁ > মান্দা (৩২)কিমি:
মান্দা > ঘুঘুডাংগা গ্রাম (৩৩)কিমি:

২য় রুটঃ নওগাঁ > মহাদেবপুর - ২৪ কিমি:
মহাদেবপুর > ছাতরা - ১৩ কিমি:
ছাতরা > ঘুঘুডাংগা - ১৩ কিমি:


(২২) আব্দুল জলিল শিশুপার্কঃ নওগাঁ শহরের প্রান্তে বালুডাংগা বাসস্ট্যান্ড পার হলেই দেখা যাবে নওগাঁ জেলার একমাত্র বিভিন্ন রাইডিং সম্বলিত সুন্দর এই বিনোদন কেন্দ্র টি।

(২৩) বৃহত্তম মাটির বাড়ীঃ নওগাঁ সদর হতে ১৬ কিমি: দূরে অবস্থিত মহাদেবপুরের আজিপুরে রয়েছে বাংলাদেশের বৃহত্তম মাটির বাড়ি। মোট ঘর ১০৪ টি..!!

(২৪) দুবলহাটি বিলুপ্তপ্রায় রাজবাড়ীঃ

দুবলহাটী রাজবাড়ী প্রায় দু’শ’ বছরের প্রাচীন স্থাপনা এবং তৎকালীন জামিদার রাজা হরনাথ রায় চৌধুরীর সময়ে এই বাড়িটির ব্যাপক উন্নতি সাধন হয়,দুবলহাটির জমিদার ছিল দিনাজপুর, পাবনা, সিলেট, বগুড়া, রংপুর ও ভারত এর কিছু অংশে।

অবস্থান ও ইতিহাসঃ নওগাঁ শহর হতে ৬ কিমি: দূরে দুবলহাটি বাজারের পাশেই অবস্থিত এই রাজবাড়ী। স্থানীয় ঐতিহাসিকদের মতে রঘুনাথ নামের এক ব্যক্তি এ এলাকায় লবণ ও গুড়ের ব্যবসা করতেন। তিনি দীঘলি বিলের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত খয়রা নদী দিয়ে নৌকা যোগে দুবলহাটিতে ব্যবসার জন্য আসেন (বর্তমানে নদীটির অস্তিত্ব নেই)। তিনি প্রায় প্রতিরাতে স্বপ্ন দেখতেন তাঁকে কে যেন বলছে, “তুই যেখানে নৌকা বেঁধেছিস সেখানে জলের নিচে রাজ রাজেশ্বরী দেবীর প্রতিমা আছে। সেখান থেকে তুলে স্থাপন কর।” রঘুনাথ একদিন ভোরবেলা জলে নেমে দেখলেন সত্যিই সেখানে রাজ রাজেশ্বরীর প্রতিমা আছে। তিনি প্রতিমাটি জল থেকে তুলে একটি মাটির বেদী তৈরি করে প্রতিষ্ঠা করলেন। এরপর তাঁর ব্যবসায় ব্যাপক উন্নতি হতে থাকে।

অন্য আরেক ঐতিহাসিকদল মনে করেন, দুবলহাটি জমিদার বংশের প্রতিষ্ঠাতা জগতরাম একজন লবণ ব্যবসায়ী, বাণিজ্য উপলক্ষে দুবলহাটির কাছের গ্রামে এসে বসবাস শুরু করেন এবং বিল অঞ্চলের ইজারা পত্তন গ্রহণ করেন। ধীরে ধীরে তাঁরা প্রচুর জমির মালিক হন। কথিত আছে যে, এই অঞ্চলে তেমন কোন ফসল উৎপন্ন না হওয়ায় ভুমা মহল অজুহাতে দুবলহাটির জমিদার কই মাছ দিয়ে কর পরিশোধ করতেন। মাত্র ২২ কাহন কই মাছ কর হিসেবে দিতেন। রঘুনাথের বিত্ত-বৈভবের খবর পৌঁছে যায় মোগল দরবারে। মোগল দরবারের নির্দেশে তাঁকে ডেকে পাঠানো হয় মুর্শিদাবাদ নবাবের দরবারে। নবাব তাঁকে রাজস্ব প্রদানের নির্দেশ জারি করেন। তিনি নবাবকে জানান, তিনি যে এলাকায় থাকেন সেখানে শুধু জল আর জল। কোন ফসল হয় না। তবে বড় বড় কৈ মাছ পাওয়া যায়। বিষয় বুঝতে পেরে নবাব তাঁকে প্রতি বছর রাজস্ব হিসাবে ২২ কাহন কৈ মাছ প্রদানের নির্দেশ দেন।

১৮৯২ খ্রিষ্টাব্দ এর দিকে জমিদারি প্রথা বিলুপ্তি হওয়ার পর রাজা হরনাথ রায় সপরিবারে চলে যান ভারতে। রাজবংশের স্মৃতিস্বরূপ থেকে যায় বিশাল সুরম্য অট্টালিকা দুবলহাটি রাজবাড়ী। পরবর্তীতে এটি সরকারি সম্পদ হিসেবে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ নিজেদের অধীনে নেয়।

(২৫) সাবেক গাঁজা প্রক্রিয়াকরণ কম্পাউন্ডঃ নওগাঁ শহরের বই বাজারের পাশে অবস্থিত এই স্থাপনা।

২৬) কৃষি পাঠাগারঃ শাহ কৃষি তথ্য পাঠাগার ও যাদুঘর।

অবস্থানঃ কালিগ্রাম, মান্দা, নওগাঁ

প্রতিষ্ঠাতাঃ জাহঙ্গীর আলম শাহ্ (শিক্ষক, রাজশাহী কলিজিয়েট স্কুল)

কৃষির উপর প্রায় ৭,৭০০ বই/পত্রিকা/জার্নাল সংগ্রহ করে সাজিয়েছেন কৃষি পাঠাগার। স্থানীয় কৃষকরা এখানে এসে আধুনিক কৃষি সম্পর্কে ধারণা লাভ করেন। সাথে আছে ১,১১৮টি কৃষি উপকরণের এক অনবদ্য সংগ্রহশালা। উপকরণ গুলো দেশের ৩৫ টি জেলা এবং ১০ টি দেশ হতে সংগৃহীত হয়েছে! ২৬০ প্রজাতির ওষধি গাছ আছে এখানে। নওগাঁ শহর হতে মাত্র ৪০ কিমি দূরে অবস্থিত এই পাঠাগার ও যাদুঘর।


বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ

পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ এবং সকলেরই কাম্য...প্রতিটি পর্যটন স্থানের পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে সবাই সচেতন থাকার চেস্টা করি।

Written Byআরমান খান

#নওগাঁ_জেলা_ভ্রমণ
  • Share
  • Tweet
  • Share

You Might Also Like...

হাজারিখীল
সোনাইছড়ি ট্রেইল
বারৈয়াঢালা আপস্ট্রিম ট্রেইল ~ পর্ব ১
বারৈয়াঢালা আপস্ট্রিম ট্রেইল ~ পর্ব ২

Leave a Reply

By posting comment you will be registered as a user. You can log in by this credential in the future.
Or, fill the comment and register with social network

0 Comments

  • Share
  • Tweet
  • Share

DURBEEN TRAVEL & TOURISM
  • Home
  • About
  • Contact
support@durbeentravel.com

Copyright © 2018 by Shunno-ek Technology. All Rights Reserved.
  • Log in

Sign In

Chose One of the Following Methods.

With Facebook
Or

Sign in Using Your Email Address

Forgot Password?
Don't have an account? Sign up Now