• Create A Story
  • Find A Story
  • My Story List
  • Join Our Trip
  • Create A Story
  • Find A Story
  • My Story List
  • Join Our Trip

হাজারিখিল বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য

A Travel Story
In
596 views

হাজারিখিল বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য

হাজারিখিল

10 Mar 2019, 12:03 am
( 925 words, Reading Time: 4.63 min)

পরিচিতি

চট্টগ্রাম শহর থেকে ৪৫ কিলোমিটার উত্তরে রামগড়-সীতাকুণ্ড বনাঞ্চল। এটি হাজারিখিল বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য নামে পরিচিত। এ অভয়ারণ্যে রয়েছে প্রায় ২৫ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণি, ১২৩ প্রজাতির পাখি, আট প্রজাতির উভচর, ২৫ প্রজাতির সরীসৃপ ও বিলুপ্ত প্রজাতিসহ ২৫০ প্রজাতির উদ্ভিদ।

বাংলাদেশের সবচেয়ে উঁচু বিরল প্রজাতির বৃক্ষ বৈলাম আছে এ অভয়ারণ্যে। এ বৃক্ষের উচ্চতা প্রায় ১০০ মিটার। সুউচ্চ বিরল প্রজাতির এ বৃক্ষটি হাজারিখিল ছাড়া বাংলাদেশের অন্য কোথাও দেখা যায় না। রয়েছে বিলুপ্তপ্রায় বনছাগলও। বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদের সমারোহ থাকার কারণে চিরসবুজ এই বনে এমন কিছু প্রজাতির পাখি পাওয়া গেছে, যা অন্য কোনো বনে সচরাচর দেখা যায় না।

এর মধ্যে রয়েছে হুদহুদ, চোখ গেল, নীলকান্ত, বেঘবৌ, আবাবিল। এসব পাখির আকার-আকৃতি, বর্ণ ও স্বভাবে বৈচিত্র্যময়। সম্প্রতি বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে এক গবেষণায় পাখির এসব প্রজাতির সন্ধান পায় গবেষক দল।

২০১৪ সালে ফটিকছড়ি উপজেলার ভুজপুর থানাধীন হারুয়ালছড়ি ইউনিয়নের হাজারিখিল বনাঞ্চলকে ঘোষণা দেয়া হয় বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য হিসেবে। এখানকার উল্লেখযোগ্য বন্যপ্রাণীর মধ্যে রয়েছে— বানর, হনুমান, মায়া হরিণ, বুনো ছাগল, চিতা বিড়াল ও মেছো বাঘ। মিশ্র চিরসবুজ বনসমৃদ্ধ এ অভয়ারণ্যের প্রধান বৃক্ষ গর্জন, চাপালিশ, সেগুন, কড়ই, মেহগনি। বিখ্যাত রাঙ্গাপানি চা বাগান এ অভয়ারণ্যের পাশেই অবস্থিত। হাজারিখিল অভয়ারণ্যের আরো যেসব পাখির দেখা মেলে তার মধ্যে রয়েছে— খুদে কাঠঠোকরা, বড় বসন্তবাউড়ি, নীলকান্ত, বেঘবৌ, ছোট বসন্তবাউড়ি, তিত মাছরাঙা, সাদা বুক মাছরাঙা, মেঘ হও মাছরাঙা, সবুজ সুইচোরা, খয়েরি মাথা সুইচোরা, নীল লেজ সুইচোরা, বড় কানাকুকা, বউ কথা কও, কোকিল, সবুজ কোকিল, সুরেলা কোকিল, তোতা, টিয়া, আবাবিল, নাক কাটি, লক্ষ্মীপেঁচা, খুরলে পেঁচা, ডোরা কালি পেঁচা, কালো পেঁচা, জালালি কবুতর, তিলা ঘুঘু, রাম ঘুঘু, ধলা ঘুঘু, ছোট হরিয়াল, কমলা বুক হরিয়াল, হলুদ পা হরিয়াল, ডাহুক, বনমোরগ, জয়াড কাঠঠোকরা, বর্মি কাঠঠোকরা, সবুজ কাঠঠোকরা, সোনালি কাঠঠোকরা, মেটে টুপি কাঠঠোকরা। আরো আছে— জলপিপি, হট্টিটি, মেটে মাথা হট্টিটি, বেশরা, তিলা ঈগল, ভুবন চিল, শঙ্খ চিল, ছোট মাছ মুরাল, ছোট বাজ, পানকৌড়ি, গো-বক, সাদা বক, মাইজলা বক, কানি বক, ওয়াক, শামুক খোল, ধূসর বুক টুনি, সাধারণ বন টুনি, পাতা বুলবুল, সবুজ বুলবুল, তাত শালিক, ঝুঁটি শালিক, গোবরে শালিক, কাঠশালিক, পাতিকাক, দাঁড়কাক, কুটুম পাখি, সবুজ হাঁড়িচাছা, ফিঙ্গে, কেশরাজ, ভীমরাজ, ছোট ফিঙে, হলদে পাখি, ফটিকজল, লাটোরা, আলতাপরী, লেজ নাচানি, বাদামি কসাই, বড় কাবাশি, চামচ কসাই, মেটে পিঠ কসাই, সিপাহী বুলবুল, কালো বুলবুল, ধূসর বুলবুল, কালো মাথা বুলবুল, শ্যামা, কালোঘর রাজন, দোয়েল, ফুটফুটি চটক, নীল শিলাদামা, শিলাদামা, লাল বুক চটক, মেটে মাথা ছোট চটক, নীলকান্তমণি চটক, এশীয় খয়েরি চটক, লেজ চেরা পাখি, টুনটুনি, সাত ভায়লা, সাদা মুকুট পাঙ্গা, পাঙ্গা, কালচে ফটক, ম্যাকারিন, বেগুনি বুক মৌটুসি, নীল টুনি, মৌচাটুনি, সিঁদুরে লাল মৌটুসি, বাধা টুনি, দাগি সাঁতারে, লাল ফুলঝুরি, তিত পাখি, চড়ুই পাখি, বাবুই, মাঠ চড়াই, তিলা মুনিয়া, বন খঞ্জন, সাদা খঞ্জন, ধূসর খঞ্জন ও হলদে মাথা খঞ্জন।

ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্টে ইকোসিস্টেম অ্যান্ড লাইভলিহুডস (ক্রেল) বলছে, বাংলাদেশের অন্য কোনো অভয়ারণ্যে নেই এত বিপুল পরিমাণের প্রাণী ও উদ্ভিদ।এ জন্য এই জায়গাটি গবেষকদের জন্য একটি গবেষণা মঞ্চ হিসাবেও পরিচিত ।

কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে এ অভয়ারণ্য পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।

পর্যটকদের জন্য মূল আকর্ষণ:

  • রাঙ্গাপানি চা-বাগান​​​​​​​

​​​​​​​​​​​​​​

  • রাঙ্গাপানি চা ফ্যাক্টরি
  • কালারপানি ঝর্ণা
  • সহস্রধারা ঝর্ণা
  • মাইজভান্ডার ঝর্ণা

​​​​​​​​​​​​​​

  • ট্রি এডভেঞ্চার

এছাড়া এ অভয়ারণ্য পর্যটকদের আকর্ষণ করতে নেয়া হচ্ছে নানা উদ্যোগও। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে তাঁবুতে থাকার সুব্যবস্তা ।

আমাদের অভিজ্ঞতাঃ

কেউ হাজারিখিল গেলে সবচেয়ে যে ব্যাপারটা উপভোগ করবেন তা হলো, এর কালারপানি ঝর্ণায় যাওয়ার ট্র্যাকিং টা। এই ট্র্যাকিং ট্রেইল টা এক কথায় অসাধারণ। কালারপানি ঝর্ণায় যেতে হাঁটতে হবে ৩-৪ কিমি, যা যেতে সাধারণত ১.৩০-১.৪৫ ঘন্টা লাগে। কিন্তু, যেহেতু এই জায়গাটা ঝর্ণার পানি ও পাথরে পরিপূর্ণ, তাই যেতে কমপক্ষে ২.৩০ ঘন্টা লাগবে। কিন্তু এটুকু বলতে পারি, হাঁটতে কারোই ক্লান্তি লাগবে না। কেননা, এতো সুন্দর জায়গা যে আপনি পুরো ট্র্যাকিং টা ই উপভোগ করবেন। ২.৩০ ঘন্টা হাঁটার পর দেখা পাবেন কালারপানি ঝর্ণা। দেখে মুগ্ধ হবেন, যদিও এটি বড় কোনো ঝর্ণা নয় । এরপর দেখার জন্য রয়েছে আরো ২ টি ঝর্ণা, যেখানে যেতে কালারপানি ঝর্ণার মত ট্র্যাকিং করতে হয় না। কিন্তু দূরত্ব বেশি বলে একদিনের ট্যুরে না যাওয়া ই ভালো। কিন্তু যারা তাঁবুতে থাকবেন এবং মিনিমাম ২ দিনের জন্য যাবেন, তারা অবশ্যই ঝর্ণা দুটো ঘুরে দেখবেন। ও হ্যাঁ, মনে রাখবেন, পুরো বাংলাদেশে যে কয়টি অভয়ারণ্যে তাঁবু ভাড়া পাওয়া যায়, তার মধ্যে হাজারিখিল একটি। আর ঝর্ণা ২টি হলো সহস্রধারা ঝর্ণা, মাইজভান্ডারী ঝর্ণা।

গাইড থেকে শুনেছি মাইজভান্ডারী ঝর্ণায় ঘুরে আসতে ৮-১০ ঘন্টা সময় লাগে। তাহলে বুঝতেই পারছেন দূরত্ব কেমন হতে পারে! যদি মাইজভান্ডারী ঝর্ণাতে যান তবে অবশ্যই বনমানুষের গুহাটি দেখে আসবেন। প্রচলিত আছে, এখানে আগে বনমানুষরা থাকতো, কিন্তু এর সত্যতা নিয়ে আমরা সন্দিহান (কথাটি গাইডের মুখ থেকে শোনা)। এরপর, আপনারা পাহাড়ে উঠে আশপাশের প্রকৃতি অবলোকন করতে পারেন। সেখানে যদি ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করেন তাহলে আশা করতে পারেন যে দুষ্প্রাপ্য পাখিগুলোর কথা উপরে বলা হয়েছে সেগুলো দেখতে পাবেন।

এছাড়াও রয়েছে ট্রি এডভেঞ্চার। আর্মি ট্রেনিং এ সৈনিকদের যেরকম চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়, আপনিও এরকম কিছু চ্যালেঞ্জ পাবেন এই ট্রি এডভেঞ্চারে। যার মাঝে ২ টো সহজ কিন্তু বাকি ৩ টি খুবই কঠিন। কিন্তু নিঃসন্দেহে উপভোগ্য এবং রোমাঞ্চকর। ঐখানে যারা আপনার সিকিউরিটির জন্য থাকবে তারা কিন্তু আপনাকে চ্যালেঞ্জ করবে যে, ৩ মিনিটে সবগুলো শেষ করতে পারলে, আপনাকে ২৫০০০ টাকা পুরষ্কার দেবে! ভুলেও এমন কিছু করতে যাবেন না। It's too much risky for accepting this kind of challenge.

আপনি চাইলে তাঁবুতে থেকে রাতে বার্বিকিউ করতে পারবেন। তাঁবুর দায়িত্বে যারা থাকবে তারা ই জোগাড় করে দেবে। সাথে করে হ্যামোক নিয়ে গেলে আর বই নিয়ে গেলে তো কথাই নেই। একটি সুন্দর বিকেল বই পড়েই কাটিয়ে দিতে পারবেন।

কিভাবে যাবেনঃ

ঢাকা থেকে চট্রগ্রাম এসে, চট্রগ্রামের অক্সিজেনে আসতে হবে। অক্সিজেন থেকেে খাগড়াছড়ির বাসে করে ফটিকছড়ির বিবিরহাটে নামতে হবে। এরপর লোকাল সিএনজি তে করে হাজারিখিল যাওয়া।ক্রমনুসারে ভাড়া পড়বেঃ

ঢাকা - চট্রগ্রাম - ৪৮০ টাকা(নন এ সি)(চট্রগ্রামের একে খান/জি ই সি নামতে হবে।)

একে খান - অক্সিজেন - ১২০-১৫০ টাকা(সি আন জি) / ১৫-২০টাকা(বাস, এক্ষেত্রে বাসে করে প্রথমে জি ই সি আসতে হবে, এরপর জি ই সি থেকে অক্সিজেন )

অক্সিজেন - ফটিকছড়ি, বিবিরহাট - ৪০/৪৫ টাকা(বাসের ভিতরে বসলে), ৩০/৩৫ টাকা(বাসের ছাদে বসলে)

বিবিরহাট বাস স্টেশন - হাজারিখিল - ৩৫ টাকা।

সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ

ঘুরতে গিয়ে সাথে নিয়ে যাওয়া পলিথিন, বিস্কুটের প্যাকেট, চকলেটের প্যাকেট, চিপসের প্যাকেট ও প্লাস্টিক জাতীয় জিনিষ যেখানে সেখানে ফেলে আসবেন না,পরিবেশের ক্ষতি হয় এমন কিছু করবেননা।

Written ByJabedul Islam

#হাজারিখীল #hazarikhil #হাজারিখিল_বন্যপ্রাণী_অভয়ারণ্য
  • Share
  • Tweet
  • Share

You Might Also Like...

বারৈয়ারঢালা থেকে হাজারিখীল (১ম পর্ব)
বারৈয়ারঢালা থেকে হাজারিখীল (২য় পর্ব)
বারৈয়ারঢালা থেকে হাজারিখীল (শেষ পর্ব)
হাজারিখিল অভয়ারণ্য

Leave a Reply

By posting comment you will be registered as a user. You can log in by this credential in the future.
Or, fill the comment and register with social network

0 Comments

  • Share
  • Tweet
  • Share

DURBEEN TRAVEL & TOURISM
  • Home
  • About
  • Contact
support@durbeentravel.com

Copyright © 2018 by Shunno-ek Technology. All Rights Reserved.
  • Log in

Sign In

Chose One of the Following Methods.

With Facebook
Or

Sign in Using Your Email Address

Forgot Password?
Don't have an account? Sign up Now