ই-পাসপোর্ট
ই-পাসপোর্ট নিয়ে কিছু তথ্য
ই-পাসপোর্টে করে ফেললাম। সেটার অভিজ্ঞতা তুলে ধরছি।
পর্বঃ ১
ই-পাসপোর্ট নিয়ে কিছু তথ্য---
বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট কিংবা ইলেকট্রনিক পাসপোর্টের কার্যক্রম ২০১৯ সালের জুলাই মাসে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বেশ কয়েক বার পেছানোর পর অবশেষে ২০২০ সালের ২২শে জানুয়ারি এই কর্মসূচীর আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম। দিন যত যেতে থাকে মানুষ এটার সম্পর্কে জানতে থাকে আর আগ্রহি হয়ে উঠে।
ই-পাসপোর্ট এর বিভিন্ন ধাপ :
১. অনলাইনে ই-পাসপোর্ট আবেদন ফরম পূরণ এবং অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়া।
২. পাসপোর্ট এর ফি পরিশোধ
৩. অ্যাপয়েন্টমেন্ট অনুযায়ী সকল ডকুমেন্টসহ নিজ নিজ পাসপোর্ট অফিসে উপস্থিত হয়ে সেগুলো জমা দিয়ে, ছবি তোলা, ফিংগার প্রিন্ট দেওয়া, চোখের আইরিশ এর ছবি তোলা।যাবতীয় সকল কাজ শেষ করে ডেলিভারি স্লিপ নিয়ে আসা।
৪. স্থায়ী, অস্থায়ী ঠিকানায় পুলিশ ভেরিফিকেশন।
৫. পাসপোর্ট অফিস থেকে ই-পাসপোর্ট সংগ্রহ।
কোন কোন ব্যাংক ই-পাসপোর্টের ফি জমা নেয়ঃ
১. ওয়ান ব্যাংক
২. ব্যাংক এশিয়া
৩. সোনালী ব্যাংক
৪. প্রিমিয়ার ব্যাংক
৫. ট্রাস্ট ব্যাংক
৬. ঢাকা ব্যাংক
ই-পাসপোর্টের যাবতীয় ফি জেনে নিন।
৫ বছর মেয়াদি / ১০ বছর মেয়াদি
৪৮ পৃষ্ঠা/ ৬৪ পৃষ্ঠা
***৪৮ পৃষ্ঠা- মেয়াদ ৫ বছর।
রেগুলারঃ ৪,০২৫ টাকা, ২১ কার্য দিবসে।
এক্সপেসঃ ৬,৩২৫ টাকা, ১০ কার্য দিবসে।
সুপার এক্সপ্রেসঃ ৮,৬২৫ টাকা, ২ কার্য দিবসে।
***৪৮ পৃষ্ঠা , মেয়াদ ১০ বছর।
রেগুলারঃ ৫,৭৫০ টাকা, ২১ কার্য দিবসে।
এক্সপেসঃ ৮,০৫০ টাকা, ১০ কার্য দিবসে।
সুপার এক্সপ্রেসঃ ১০,৩৫০ টাকা, ২ কার্য দিবসে।
৬৪ পৃষ্ঠা, মেয়াদ ৫ বছর।
রেগুলারঃ ৬,৩২৫ টাকা, ২১ কার্য দিবসে।
এক্সপেসঃ ৮,৬২৫ টাকা, ১০ কার্য দিবসে।
সুপার এক্সপ্রেসঃ ১২,০৭৫ টাকা, ২ কার্য দিবসে।
৬৪ পৃষ্ঠা, মেয়াদ ১০ বছর।
রেগুলারঃ ৮,০৫০ টাকা, ২১ কার্য দিবসে।
এক্সপেসঃ ১০,৩৫০ টাকা, ১০ কার্য দিবসে।
সুপার এক্সপ্রেসঃ ১৩,৮০০ টাকা, ২ কার্য দিবসে।
অনেকে মেয়াদ আর পৃষ্ঠার সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন করে। কেন ৫ বছর মেয়াদি বা কেন ৪৮ পৃষ্ঠা,, কেন ৬৪ পৃষ্ঠা--- আপনি ৫ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট করলেন। ৫ বছর পর এই পাসপোর্ট দিয়ে আপনি দেশের বাহিরে যেতে পারবেন না। তখন পাসপোর্ট এর রি-ইস্যু করতে হবে। প্রধান ইউনিফরম একই থাকবে।
কার ৪৮ পৃষ্ঠা নাকি ৬৪ পৃষ্ঠা!! প্রতিবার দেশের বাহিরে যেতে ২-৩ টা পেজ লাগে। ভিসা, ইমিগ্রেশন এর সিল এই পেজ গুলোতে দেয়া হয়। যারা দেশের বাহিরে বেশি যাতায়াত করে তাদের বেশি পৃষ্ঠার /৬৪ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট লাগে। পাসপোর্ট এর পৃষ্ঠা শেষ হয়ে গেলে আবার নতুন পাসপোর্ট বই নিতে হয়। দেশের বাহিরে খুব কম যাওয়া হলে বছরে এক দুবার তাহলে ৪৮ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট নিতে পারেন।
ই-পাসপোর্টের জন্যে কি কি ডোকুমেন্ট লাগবে।
১. নিজের জাতীয় পরিচয় পত্র
২. নিজের স্টুডেন্ট কিংবা জব আইডি (আবেদনের সময় প্রোফেশন “ছাত্র” দিয়ে থাকলে আপনাকে স্টুডেন্ট আইডি প্রদর্শন করতে হবে, “চাকুরীজীবী” দিয়ে থাকলে জব আইডি)
৩. নাগরিক সনদ/প্রত্যয়ন পত্র ( চেয়ারম্যান / ওয়ার্ড কাউন্সিল এর কাছে পাবেন)
৪.বাবার জাতীয় পরিচয় পত্র।
৫. মা’র জাতীয় পরিচয় পত্র।
৬. ইউটিলিটি বিল (বিদ্যুৎ/পানি/টেলিফোন)
এই সব ডোকুমেন্ট থাকলেই আপনি করে ফেলতে পারবেন ই-পাসপোর্ট। ক্ষেত্র বিশেষ এ আরো কিছু ডোকুমেন্ট লাগে।
0 Comments