হাজারিখীল
রাঙাপানির খোঁজে
যাত্রাটা শুরু হয়েছিলো ভোর ৬ টায়। কিন্তু বাসের টিকিট ম্যানেজ করে রওনা দিতে দিতেই ৭ টা বেজে গেছিলো। বাসের জার্নিটা শেষ হয় বিবিরহাট বাজারে। সেখান থেকে সি এন জিতে চেপে হাজারীখিল।
সেদিন টিপ টিপ বৃষ্টি পরছিলো। সেই ছিঁটে বৃষ্টির মাঝেই ঘুরে দেখলাম চা ফ্যাক্টরি। কত যে যন্ত্র। চায়ের পাতা থেকে চা পাতা হয়ে উঠার গল্প বলেছিলেন রাঙাপানি চা কারখানা কর্মী সুনীলদা।
হালকা কিছু নাস্তা করে হাঁটা শুরু করলাম, ঝর্ণা দেখার উদ্দেশ্যে। প্রথমে পায়ের পাতা সমান পানি। ধীরেধীরে ছোটোখাটো পাথর, গাছের গুড়ি, লতাপাতা দেখতে দেখতে হাঁটছিলাম। কোথাও হাঁটু সমান পানি আবার কোথাও পাথর। এভাবেই চলছিলো হাঁটা। মাঝেমাঝে ছোটো ঝর্ণা, লতা গাছ, বিশাল আকারের পাথর দেখতে দেখতেই পৌঁছে গেলাম ঝর্ণার খুব কাছে। বিশাল পাথরের ফোঁকর থেকে নেমে আসছিলো পানির ধারা। কি যে অপূর্ব সুন্দর, বলার মত না।
এবার ফিরে আসার পালা। ঝর্ণা থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার হেঁটে আসার পর পাহাড়ে ওঠে এলাম। অভয়ারণ্য দেখবো বলে।
খাঁড়া পাহাড় বেয়ে উঠতে কষ্ট হচ্ছিলো, কিন্তু পাহাড়ে উঠার পর চারপাশের সবুজ দেখে সেই কষ্টটার কথা ভুলেই গেছিলাম। পাখির কিচিরমিচির শব্দ, বুনো ফুল, গাছগাছালি, পাহাড় সবই ছিলো দুর্দান্ত সুন্দর।
0 Comments